শনিবার ● ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » দাকোপে নকল ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে চাদাবাজিকালে ৬ প্রতারক আসল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ধরা
দাকোপে নকল ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে চাদাবাজিকালে ৬ প্রতারক আসল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ধরা
আজগর হোসেন ছাব্বির,দাকোপ
দাকোপে ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ৬ প্রতারক আটক হয়। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়।
গতকাল শনিবার দাকোপের পল্লীতে নকল ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়কালে ৬ প্রতারক জনতার সহায়তায় আসল ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ধরা খেয়েছে। দাকোপ থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সুত্র জানায় গতকাল ওই প্রতারক দল উপজেলার ৬ নং কামারখোলা ইউনিয়নের জয়নাগর ও কালীনগর বাজার এলাকায় অভিযানে যায়। নিজেদেরকে বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এবং টিম লিডারকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন দোকানে নকল অথবা মেয়াদ উত্তির্ণ মালামাল জব্দ করে সাজা দেওয়ার ভয় দেখায়। একই সাথে তারা ডিজেল পেট্রোল ব্যবসায়ীদেরকে লাইসেন্স না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার ভয় দেখায়। এভাবে তারা কামারখোলা ইউনিয়নের ২ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৯ হাজার টাকা এবং ১ মোটর সাইকেল চালকের নিকট থেকে ১ হাজার মোট ১০ হাজার টাকা আদায় করে। একই সাথে কয়েক ব্যবসায়ীকে নিজেদের বিকাশ নাম্বার দিয়ে পরে সেই নাম্বারে টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তাদের এই তৎপরতায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। নির্বাহী অফিসার তাদেরকে প্রতারকচক্র সন্দেহ করে এলাকাবাসীকে আটকানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ততক্ষনে প্রতারকচক্রটি পাশ্ববর্তী সুতারখালী ইউনিয়নের নলিয়ান বাজার এলাকায় গিয়ে অনুরুপ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়। এ সময় দাকোপ থানা পুলিশের নিকট থেকে সংবাদ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকিরের নেতৃত্বে তাদেরকে আটক করে সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে থানা পুলিশের এস অই মাসুদুর রহমান, আঃ সবুর, নাজমুস সাকিব ও আঃ রহিমের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স তাদেরকে উদ্ধার করে কামারখোলা ইউপি কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফুল আলমের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করে। আটককৃতদের কাছ থেকে চাদাবাজির টাকাসহ বাংলাদেশ ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন ফাউন্ডেশনের কার্ড প্যাড ও টিম লিডার হুমায়ুন কবিরের নিকট থেকে ওই কাডসহ অপরাধ তথ্য চিত্র নামের একটি পত্রিকার আইডি কার্ড উদ্ধার হয়। আটককৃতরা হল ১। হুমায়ুন কবির (৪৭) পিং শহিদ মকবুল হোসেন মোল্যা, সাং কুড়িগ্রাম জেলা নড়াইল, ২। আলী হায়দার (৬০) পিং মুন্সি রুহুলামিন, টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড খুলনা, ৩। মনিরুজ্জামান হাই (৫৬) পিং মৃঃ ফরিদ মোল্যা পশ্চিম টুটপাড়া খুলনা, ৪। রফিকুল ইসলাম (৪৬) পিং মৃঃ শফিজ উদ্দিন মুন্সি পশ্চিম টুটুপাড়া খুলনা, ৫। দেবদাস রায় (৪০) পিং মৃঃ বিনোদ রায়, সাং খড়িয়া মহারাজপুর উপজেলা কয়রা জেলা খুলনা, ৬। জয়ন্ত বালা (৫৫) পিং মৃঃ জুরান বালা বাগমারা খুলনা। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফুল আলম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত এবং দঃ বিঃ ১৮৬০ এর ৩৫৬ ধারায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।