মঙ্গলবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন
পাইকগাছায় অবিরাম বর্ষণে বিপর্যস্থ জনজীবন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় তিন দিনের অবিরাম বর্ষণে জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অতিরিক্ত পানি জমে ফসলের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। রবিবার সকাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েয়ে। এদিকে পাইকগাছার বিভিন্ন ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ডেবে গেছে ও গড়ইখালী ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হওয়ায় গাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়েছে। এলাকার পুকুর, সবজি ক্ষেত সহ বাগান পানিতে তলিয়ে গেছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। নিচু এলাকা বাড়ীর উঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক স্কুলের মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিু আয়ের দিন মজুর মানুষেরা। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুরা কাজ করতে পারেনি। অনেকেই বাড়ি হতে বের হতে পারেনি। পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের লিটন সরদার (কিনা) জানান, প্রতিদিন দিন মজুরের কাজ করে আমার সংসার চালাতে হয়, কিন্তু ভারি বর্ষণের কারণে রবি ও মঙ্গলবার আমি কোথাও কাজ করতে যেতে পারিনি। মারাত্মকভাবে ব্যহত হয় ব্যবসা-বাণিজ্য সহ দৈনন্দিন সকল কার্যক্রম। এদিন ভারি বৃষ্টির কারণে রবি, সোম দুই দিন পাইকগাছা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন থাকে। উপকূল এলাকার চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান। তিনি বলেন লীজ ঘের গুলোতে কয়েকদিন আগে আমন রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমনের চারা রোপনের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকা কৃষকদের পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতি হবে না বলে তিনি জানান।