বুধবার ● ১১ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ডুমুরিয়া ওড়াবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পানি বন্দি ঃ রাস্তার উপর গাছতলায় চলছে শিক্ষার্থদের পাঠদান
ডুমুরিয়া ওড়াবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পানি বন্দি ঃ রাস্তার উপর গাছতলায় চলছে শিক্ষার্থদের পাঠদান
অরুন দেবনাথ, ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়া উপজেলার ওড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পানি বন্দি হয়ে পাঠ দানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।উপায়ন্ত না পেয়ে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তার উপর গাছতলায় দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।চলতি বৃষ্টি মৌসুম থেকে এ রকম পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি নেমে এসেছে অর্ধেকে।আবার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে স্কুল ছাড়তে।আশু এর কোন সমাধান নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস।এ জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরাই দায়ী বলে অভিযোগ এলাকা বাসির।সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নের ওড়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত ১৯৯৬ সালে।প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বিদ্যালয়টি।কিন্ত চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই স্কুলটি পানি বন্দি হয়ে তলিয়ে গেছে স্কুল মাঠ সহ শ্রেনী কক্ষ।অযোগ্য হয়ে পড়েছে পাঠদান।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা বনানী সরকার জানান পানি বন্দি স্কুল মাঠ পেরিয়ে শ্রেনী কক্ষে প্রবেশের কোন উপায় নেই।তার উপর শ্রেনী কক্ষের মধ্যে প্রায় ২/৩ ফুট পানি।সেখানে প্রবেশ বা পাঠদানের কোন উপায় না থাকায় বেছে নিয়েছি রাস্তার উপর গাছতলা।এখানে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে পাঠদান করতে হচ্ছে।সম্প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি অর্ধেকেরও কম।এভাবে ক্লাস করা যেমনি কষ্টের তেমনি শিক্ষার অনুপযোগী।বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নলেজে রয়েছে।৫ম শ্রেনীর ছাত্রী সেতু বাছাড়,৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র জিৎ গাইন,৩য় শ্রেনীর ছাত্র তুর্য ঢালী সহ অনেক শিক্ষার্থী জানান আমরা টিসি পেলে অন্য স্কুলে চলে যেতাম।এ ভাবে রাস্তার উপর বসে কি ক্লাস করা যায়।এক দিকে গাড়ীর শব্দ অন্য দিকে রোদ-বৃষ্টি।তার উপর বাথরুমের কোর জায়গা নেই।একটু বৃষ্টিতে ছুটে পালাতে হয় ,ভিজে যায় বই-খাতা।সাথে রয়েছে বজ্রপাতের ভয়।সব মিলে সিমাহীন দূর্ভোগে রয়েছি আমরা।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক কুমার মন্ডল,স্থানীয় সমিরন বালা,জগদিশ মন্ডল সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় প্রভাবশালী বিকাশ গাইন,রমেশ গাইন,গৌর গাইন,দুর্গা চরন ঢালী,অশোক বিশ্বাস,বিধান মহালদার প্রশান্ত মন্ডল সহ অনেকে স্কুলের পাশ দিয়ে বয়ে মহুলার খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।যে কারনে স্কুল সহ অনেক ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।ঘটনা প্রসংগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জি এম আলমগীর কবির বনে স্থানীয়রা যদি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে স্কুল তলিয়ে দেয় তাহলে আর কি করার আছে। ঘটনা প্রসংগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।