সোমবার ● ১৬ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তলিয়ে জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঃ চরম ভোগান্তীতে শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তলিয়ে জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঃ চরম ভোগান্তীতে শিক্ষার্থীরা
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ার জাবড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা সরকারী খাস খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জলাবদ্ধতাসৃষ্টি হয়ে তলিয়ে গেছে পল্লী জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও এর আশপাশ এলাকা।তলিয়ে গেছে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা ও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাবহারের এক মাত্র বাথরুম।তলিয়ে যাওয়া পানিতে রয়েছে অসংখ্য জোঁক।যার ভয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে হাটু পানি ঠেলে কাদা-পানি পাড়ি দিয়ে শ্রেনী কক্ষে যেতে হচ্ছে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকদের।চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এ সমাস্য সৃষ্টির পর আজও এর কোন সমাধান না হওয়ায় অবশেষে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরনাপন্ন হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আশু এর সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায় ১৯৯৩ সালে উপজেলার জাবড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় পল্লী জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।যার বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী আড়াই শতাধিক।কিন্ত সম্প্রতি স্’ানীয় প্রভাবশালী সুদেব ঢালী,নীতিষ ঢালী,সহ আরো অনেকেঅত্র এলাকার পানি নিস্কাশনের একমাত্র সরকারী কিচিমিচি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জলাবদ্ধতাসৃষ্টি হয়েছে।তলিয়ে গেছে স্কুল মাঠ সহ ফসলী জমি।স্কুলে যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা ও বাথরুম তলিয়ে যাওয়ায় সিমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার বিশ্বাস জানান সৃষ্ট সমাস্যার সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে বহুবার বসে এ সমাস্যার সমাধান করতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছি।কতিপয় ব্যক্তি তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল হরতে এলাকার সাধারন মানুষ ও স্কুলটি ভোগান্তীতে ফেলেছে।এ অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত স্কুলে আসছে না।পানিতে তলিয়ে বাথরুম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ভোগান্তীর পাশাপাশি পানিতে অসংখ্য জোঁক থাকায় ভোগান্তীর শেষ নেই।সব মিলে পানি নিস্কান ছাড়া শিক্ষার পরিবেশ ও এলাকা বাসির স্বস্তির কোন উপায় নেই।অনুরুপ ভাবে ৮ম শ্রেনীর ছাত্র বৈশাখী রায়,৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী সূচি ঢালী সহ অনেক ছাত্র-ছাত্রীরাওদূর্ভোগের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।এ প্রসংগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান বলেন অভিযোগ পেয়েছি শিগ্রই তদন্ত সাপেক্ষে পানি স্কিাশনের মাধ্যমে এলাকার সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মুক্ত করা হবে।