বুধবার ● ১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি বিশাল গৌরবের: প্রধানমন্ত্রী
ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি বিশাল গৌরবের: প্রধানমন্ত্রী
এস ডব্লিউ নিউজ ।
একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হওয়ায় ‘গভীর সন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন তার কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি বাঙালি জাতি এবং বাংলা ভাষার জন্য বিশাল গৌরবের।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক শাসনামলে এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে জাতির পিতার ওই ভাষণ গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ থাকলেও বঙ্গবন্ধুর সেই কণ্ঠ “সাধারণ মানুষের হৃদয় থেকে কোনদিনই মুছে যায়নি।”
৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করায় ইউনেস্কো এবং এর মহাসচিব ইরিনা বোকোভাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৬ বছর আগে সেই ভাষণে স্বাধীনতাকামী ৭ কোটি বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি: প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি
বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে এবার বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকেও ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নিয়েছে ইউনেস্কো।
ইরিনা বোকোভা সোমবার প্যারিসে ইউনেস্কো কার্যালয়ে ওই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করার পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিবৃতি দেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
স্বাধীনতার জন্য বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, “আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে।”
আড়াই হাজার বছরের গণজাগরণ ও উদ্দীপনামূলক বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ডের লেখা ‘উই শ্যাল ফাইট অন দা বিচেস: দি স্পিচেস দ্যাট ইনস্পায়ার্ড হিস্ট্রি’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্থান পেয়েছে। বিশ্বের ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে অনুপ্রেরণাদায়ী ওই ভাষণ।
এর ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে ‘আরেকটি মাইলফলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন শেখ হাসিনা।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা।