মঙ্গলবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনির পল্লীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রী ধর্ষন শিকার, ধর্ষক আটক
আশাশুনির পল্লীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রী ধর্ষন শিকার, ধর্ষক আটক
আহসান হাবিব, আশাশুনি: আশাশুনির পল্লীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। থানায় মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপঝেলার কাদাকাটির কুদ্দুস সানার কন্যা সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী তছলিমা খাতুন (১৯) সাথে দরগাহপুর গ্রামের হসেন আলীর পুত্র দিদারুল ইসলাম (২২) বিগত ৪ বছর পূর্বে খেলার মাঠে পরিচয় হয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক পর্যায়ে উভয়ে প্রেমজ, পরে দহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার দিবাগত রাতে নারী লোভী প্রেমিক দিদারুল প্রেমিকা তছলিমাদের বাড়িতে আসে। এ সময়ে কলেজ ছাত্রী তছলিমা দিদারুলকে বলে যত তাড়াতাড়ি পারো আমাকে বিয়ে করে লুকুচুরি খেলা বন্ধ কর। এমনিভাবে ৪ বছর যাবৎ বিয়ে করব করব বলে আমার সাথে অবৈধ ভাবে একাধিকবার মেলামেশা করেছ। এ বিষয়ে জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মানসম্মান যাবে। তার চেয়ে আজই যখন তুমি আমাদের বাড়িতে এসেছ তখন আমার পরিবার এ ঘটনা জানে আমি তাদেরকে কাজী ডাকতে বলেছি, বিয়েটা আজ রাতেই সেরে নেই। এ কথা প্রতারক লম্পট দিদারুল খুব সহজে মেনে নিয়ে বলে আজ নয় কালকে আমাদের বিয়েটা সম্পন্ন করা হবে। এভাবে প্রতারনা মূলকভাবে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ে করব বলে এমন নাটক করে পূর্বের মত সেদিনও প্রেমিকা তছলিমার বাড়িতে অবৈধভাবে মেলা মেশা করা অবস্থায় বাড়ির লোকজন চিৎকার চেচামেচি করে। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দ্রæত ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দিদারুলকে আটক করে থানা পুলশে খবর দেয়। আশাশুনি থানার এসআই বিশ্বজিত অধিকারী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষক দিদারুল (২২) কে আটক করে ভিকটিম তছলিমা খাতুনকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। উভয় পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিলেও ধর্ষক দিদারুল ও তার পরিবার রাজি না হওয়ায় তাসলিমা নিজে বাদী হয়ে ৩ (১১) ১৭ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার এসআই বিশ্বজিত অধিকারী জানান, ধর্ষক দিদারুল কে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ও তছলিমাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।