মঙ্গলবার ● ৭ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রোহিঙ্গা ইস্যুতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চায় সিপিএ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ চায় সিপিএ
এস ডব্লিউ নিউজ ।
রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান জাতিগত নিধনযজ্ঞ অবিলম্বে বন্ধ করা ও এ সমস্যার দ্রুত সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সিপিএ। পাশাপাশি মিয়ানমারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে, তারা যেন অবিলম্বে সব ধরনের নৃশংসতা বন্ধ করে এবং বাংলাদেশে পালিয়ে আসাদের স্থায়ীভাবে তাদের বাসভূমিতে ফিরিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিপিএ সম্মেলনের সমাপনী দিনে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারকে অবিলম্বে ও নি:শর্তভাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ওপর যাবতীয় সহিংসতা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। চলমান জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও নৃশংসতার মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের নিজ বাসভূমিতে স্থায়ীভাবে ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। এবিষয়ে মিয়ানমার সরকারকে অবিলম্বে ও জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও সেনা মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর যে অব্যাহত নারকীয় নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে, বিবৃতিতে তারও তীব্র নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি ভূমি ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।
এবিষয়ে সিপিএ সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তিনি যেন বিষয়টি সিপিএভুক্ত দেশগুলোর সংসদ, জাতিসংঘের মহাসচিব, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে অবহিত করেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন। একই সঙ্গে পরবর্তী সিপিএ সাধারণ সম্মেলনে মিয়ানমারের এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের বিষয় থাকলে তা উত্থাপন করতে বলা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) সিপিএ সম্মেলনের মধ্যাহ্ন বিরতির পর অধিবেশন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সিপিএ কোনো রেজুলেশন বা স্টেটমেন্ট দেবে কীনা এ নিয়ে একটা ধূম্রজাল তৈরি হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির সময় কয়েকজন সাংবাদিক বিআইসিসিতে সিপিএ’র চেয়ারপার্সন ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে তিনি বলেন, ‘সিপিএ’র বিধান হচ্ছে, কোনো ইস্যু এজেন্ডাভুক্ত করতে হলে সাধারণ এসেম্বলি’র কমপক্ষে ৬০ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। যেহেতু বর্তমান রোহিঙ্গা ইস্যুটি অনেক পরে সৃষ্ট হয়েছে, সে কারণে এটির এজেন্ডাভুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না। আর সিপিএ তে জরুরি ভিত্তিতে কোনো ইস্যুকে এজেন্ডাভুক্ত করারও সুযোগ নেই। তাই কোনো রেজুলেশন বা বিবৃতি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে সম্মেলন শেষে আমার সমাপনী বক্তব্যে অন্যসব বিষয়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুটি থাকবে।’
যদিও পরে ঠিকই এ প্রসঙ্গে বিবৃতিটি দেয়া হয়।এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর গুরুত্ব ও এর মানবিক দিককে মাথায় রেখেই তারা এ বিষয়ে বিবৃতিটি দিয়েছেন।