রবিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় খুলনা বিভাগের সেরা টার্কি মূরগীর ফার্ম ঃ সাফল্যের শির্ষে ওরা তিন বন্ধু
ডুমুরিয়ায় খুলনা বিভাগের সেরা টার্কি মূরগীর ফার্ম ঃ সাফল্যের শির্ষে ওরা তিন বন্ধু
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়া সদরে আরাজি ডুমুরিয়া নামক পল্লীতে গড়ে উঠেছে খুলনা বিভাগের মধ্যে সেরা টার্কি মুরগীর ফার্ম।এটি শিক্ষিত বেকার ওরা তিন বদ্ধু সোহাগ,রিয়াজ ও শুভ‘র পরিশ্রমের ফসল এবং স্বনির্ভরের রোল মডেল বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।ফার্মটি পরিদর্শন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক।শুধু তাই নয় এত অল্প সময়ে এর ব্যপক সফলতা নজর কেড়েছে অনেকের।বেকারত্বের দুষ্ট চক্র তাদের মাঝে এ সফলতা এনে দিয়েছে বলে মনে করেন তারা।্এখন জায়গার সল্পতা ও পূঁিজ সংকট তাদের প্রধান আন্তরা।সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় তিন বদ্ধুর সাথে।ফার্মের কাজের ফাকে কিছুটা সময় দেন তারা।তুলে ধরেন তাদের সাফল্যের ইতি কথা।শিক্ষায় তারা তিন বদ্ধুই সর্ব উচ্চ ডিগ্রী লাভ করার পর বের হয় চাকুরীর খোজে।চাকুরী খুজতে খুজতে এক পর্যায়ে চাকুরী না পেয়ে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হন কিভাবে নিজের ভাগ্য নিজে গড়া যায়।কিন্তু তাদের তো পুঁজি নেই।কথা হয় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামানের সাথে।তিনি তাদের মূরগী পালন‘র উপর আড়াই মাসের প্রশিক্ষর শেষে ৫০ হাজার টাকা করে তিন জনকে দেড়লক্ষ টাকা লোন দেন।সেদিন ছিল ৪ জুলাই ২০১৬।তিন বদ্ধু ওই দেড় লক্ষ টাকা ঋন নিয়ে ছোট্র একটি টিনের সেডে ২০ পিচ টার্কি মুরগীর বাচ্ছা দিয়ে শুরু করে টার্কি ফার্ম।মাত্র এক বছর ৪ মাস যেতে না যেতে তাদের ফার্মে এখন ছোট বড় ২৬‘শ মোরগ মূরগী।এ ছাড়া ডিম,বাচ্ছা ও মুরগী বিক্রি অব্যহত রয়েছে।বর্তামান তাদের পূঁিঁজ ৩০ লক্ষ ছাড়িয়েছে।মাসে প্রায় ৪ হাজার ডিম দেয় মুরগী গুলি। ইতি মধ্যে তারা বাচ্ছা ফুটানোর জন্য দু‘টি ইনফিউবেটন মেশিন ক্রয় করেছে।প্রতিনিয়ত ফুটছে শত শত বাচ্ছা।দুর দূরন্ত খেকে ফর্মার ও সাধারন মানুষ বাচ্ছা কিনতে ভীড় জমান তাদের ফার্মে।উৎপাদনের চেয়ে চাহিদা বেশী থাকায় ফার্মের বিস্তার ঘটাতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ৯ জন মোটা বেতনের কর্মচারী।তাছাড়া তিন বন্ধু কর্মচারী হিসেবে ফার্মে কাজ করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন উত্তলোন করছেন বলে জানান তারা। এখন জায়গা সল্পতা ও মোটা পূজিঁ তাদের অন্যতম অন্তরা হয়ে দেখা দিয়েছে।সরকারী সহায়তা ও হস্তক্ষেপ তাদের একান্ত কাম্য। তারা আরো বলেন চাকুরীর প্রয়োজন নেই,বেকার যুবকেরা আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে নিজেরাই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।এতে আরো আনেকের বেকারত্ব ঘুচবে।একটু সদিচ্ছা ও পরিশ্রম এ জন্য যথেষ্ট।কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসানের সাথে।তিনি জানান তাদের সাফল্যের খবর পেয়ে একদিন ঘটনা স্থলে গিয়ে চমকে যাই এবং তাদের প্রযুক্তি ও সাফল্যর বিষয়টি ডিসি স্যারকে জানাই।ওরা স্বনির্ভরের রোল মডেল।জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান জানান গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর চেয়ে বড় টার্কি ফার্ম খুলনা বিভাগে আছে কিনা আমার জানা নেই।ওদের দেখে অন্য যুবকেরাও পারে স্বনির্ভর হবে এবং এতে ঘুচবে বেকারত্ব ,উন্নয়ন হবে দেশ।