বুধবার ● ২২ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুরে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকালে ছাটাইকৃত গাছের ডাল সড়ক থেকে জনস্বার্থে সরানো বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কেশবপুরে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকালে ছাটাইকৃত গাছের ডাল সড়ক থেকে জনস্বার্থে সরানো বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) থেকে ॥
যশোরের কেশবপুরে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকালে ছাটাইকৃত গাছের ডাল সড়ক থেকে জনস্বার্থে সরানো বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টার প্রতিবাদে গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদে মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের উদ্যোগে কেশবপুর উপজেলা-সহ গৌরীঘোনা ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রেয়েছে। সম্প্রতি চুকনগর-শোলগাতিয়া সড়কের আগরহাটি গ্রামের রহিমের বাড়ি হতে সালাম সরদারের বাড়ি পর্যন্ত বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণকালে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরার গাছেল ডাল ছাটাই করে ফেলে রেখে যায়। যার কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এলাকাবাসির দাবীর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী খান সড়কের উপর পড়ে থাকা গাছের ডাল সরিয়ে ঐ গাছের গোড়ায় সংরক্ষণের জন্য ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ বাবলুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেন। গ্রামপুলিশ বাবলুর রহমান কাঠ শ্রমিক গৌতম কুন্ডুকে নিয়ে বিদ্যুতিক লাইন নির্মাণে কর্তনকৃত গাছের ডাল সাংশ্ষ্টি গাছের গোড়ায় সংরক্ষণ করে। যে ডাল কেহ নিয়ে যায়নি। বিষয়টি নিয়ে গৌরীঘোনা গ্রামের মোঃ সোহেল রানার আইডি হতে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন স্টাটার্স প্রদান করা হয়। বিষয়টি গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে যশোর জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন ও জেলা পরিষদ কর্তকর্তা মঞ্জুরুল আলম ১৮ নভেম্বর আগরহাটির ঐ সড়কটি পরিদর্শন করেন। এদিকে ১৯ নভেম্বর দৈনিক গ্রামের কাগজে ‘কেশবপুরে সরকারী সড়কের পাশ থেকে গাছ কাটার অভিযোগ’ শিরোনামে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে ২০ নভেম্বর যশোর জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন পুনরায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং ভরতভায়নায় ইদ্রিসের স’মিলে একটি কাঠের গুড়ি দেখতে পান। যে গাছটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাটা হয়েছে। এব্যাপরে কাঠ বহনকারী ভ্যান চালক গোবিন্দ দাস জানান, স’মিল মালিক ইদ্রিস আলী তাকে দিয়ে ঐ কাঠটি তার স’মিলে নিয়ে আসে। উল্লেখ্য ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তার গাছ চুরির অভিযোগে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যার নং জি,আর ৮৫/১৩ এবং জি,আর ১০০/১৩। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৌরীঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাহারুল ইসলাম, লিয়াকত আলী খান, এস এম আফজাল হোসেন, জিয়াউর রহমান, হাফিজুর রহমান, কাজী হামিদার রহমান, সলেমান ফকির, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান কাজল, আসাদুজ্জামান, শারমিন আক্তার, ফরিদা বেগম ও কহিনুর বেগম।