শনিবার ● ২৫ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমনের আবাদ ভালো হয়েছে
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরও বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমনের আবাদ ভালো হয়েছে
প্রকাশ ঘোষ বিধান ॥
পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন আবাদের পর একাধিকবার নিুচাপের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলার পরও আমনের ফলন ভালো হয়েছে। খামারে আমন বীজ ধান কর্তন ও মাড়াই চলছে। প্রকৃতির এ বিপর্যয় মোকাবেলার পরও খামারের উৎপাদিত বীজ ধানের লক্ষমাত্রা পুরুন হবে বলে খামার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
জানাগেছে, বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন মৌসুমে ৪৭ একর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিআর ৩০ একর, ব্রী ধান ৫২- ৯ একর, ব্রী-ধান ৭৬- ২ একর, বিনাধান ১৭- ৩ একর ও নেরিকা নিউটন ৩ একর। পরপর ৩টি নিুচাপ হওয়ায় আমন আবাদে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এরমধ্যে ধানের ফুলে বের হওয়ার পর নিুচাপ হওয়ায় অনেক ধান চিটা হয়ে যায়। এরপর আবার নিুচাপ হওয়ায় ঝড় হাওয়ায় ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয়। তারপর সর্বশেষ ধান কাটার আগমূহুর্তে নিুচাপে ঝড় হাওয়া ও বর্ষণে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কিছু কিছু পাকা ধান ঝড়ে পড়েছে এবং কিছু ধানে কালো দাগ এসেছে। এরফলে উৎপাদিত ফলনে অনেক ধান বীজ ধানে পরিণত হবে না। এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দীন মোল্লা জানান, খামারে হারবেস্টার মেশিনের সাহায্যে ধান কর্তন ও মাড়াই চলছে। ২-৩ দিনের মধ্যে পুরো জমির ধান কর্তন করা হবে। এরপর ধান শোকানোর পর নির্দিষ্ট করে বলা যাবে একর প্রতি কত কেজি বীজ ধান উৎপাদন হবে। বিঘা প্রতি বীজ ধানের ৫৪০ কেজির লক্ষমাত্রা পুরুন হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, উপকূল এলাকায় এ খামারটি অনেকটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে চাষাবাদ করতে হয়। আমন লাগানোর পর ৩টি নিুচাপ কয়েকদিনের মধ্যে হওয়ায় আবাদে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে নিুচাপের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে আমন আবাদ সুরক্ষায় সময়মত ব্যবস্থা ও পরিচর্যা অব্যাহত রাখায় আমন বীজ উৎপাদনে আশানারূপ ফলন অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।