সোমবার ● ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় ভদ্রা-শালতা খনন শুরু ঃ বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে জায়গা ছাড়তে ব্যস্ত বসবাসরত পরিবার গুলি
ডুমুরিয়ায় ভদ্রা-শালতা খনন শুরু ঃ বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে জায়গা ছাড়তে ব্যস্ত বসবাসরত পরিবার গুলি
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় ভদ্রা ও শালতা নদী খনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।গত শুক্রবার থেকে এ কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে।এদিকে নদী গর্ভে বসবাসরত পরিবার গুলি তাদের নিজ হাতে গড়ে তোলা অতি যত্নের বাড়ী-ঘর
ভাংচুর করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খাওয়া দাওয়া ও ঘুম হারাম করে তাদের শেষ সম্বল টুটু রক্ষা করতে বিরাম হীন ভাবে কাজ করে চলেছে পরিবার গুলি।তাদের চোখে জল আর মুখে আছন্ন মেঘ।তবুও উপায়ন্ত না পেয়ে সেচ্ছায় ছাড়ছে শপ্নের বাসস্থান।এদের অনেকেই ঠাই নিচ্ছে খোলা আকাশের নীচে, আবার কেউবা মাঠে-ঘাটে।এমনই করুন কাহিনীর কথা জানালেন ভুক্তভোগী পরিবারের অনেকে।এদিকে ভাংচুর দৃশ্য দেখতে ভীড় জমাচ্ছে শতশত মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে ভক্তভোগী পরিবারও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে কথা বলে জানাযায় ৭৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ডুমুরিয়ায় চরভরাটি মরা ভদ্রা ও শালতা নদীর প্রায় সাড়ে ২১ কিলোমিটার নদী খনন প্রকল্প গ্রহন করে সরকার।এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় দিঘেলা থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত ১১.৭ কিলো এবং উত্তারাশের তেলিগাতি থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত ৯.৮কিলোমিটার।যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলি।চলছে বিরাম হীন ভাবে খনন প্রকল্পের কার্যক্রম। এ দিকে নদী খননের পাশাপাশি নদী গর্ভে গড়ে ওঠা পরিবার গুলির মধ্যে দেখা দিয়েছে এক করুন দৃশ্য।তারা মুখে মেঘ আর চোখে জল নিয়ে নিজের হাতে গড়ে তোলা কাঁচা-পাকা বাড়ী ঘর ভাংতে ব্যস্ত সময় পার
করছে।কথা হয় এরকম অনেক পরিবারের সাথে।নদী গর্ভে বসবাসরত দক্ষিন চিংড়া এলাকার আবুল হোসেন,হালিম গাজী,রবিউল সরদার,ভান্ডারপাড়া আবাহসন এলাকায় সুধির সরকার,পরিজান বিবি,লুৎফর রহমান সহ অনেকেই অশ্রু চোখে জানান সকল কষ্ট গরীবের জন্য।যে ডাল ধরি,সে ডাল ভাঙ্গে।শেষ সম্ভল দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা সাধের ঘর এখন নিজ হাতে ভাংতে হচ্ছে।এর চেয়ে কষ্টের আর
কিছু আছে বলে জানা নেই।আমাদের কষ্টের কথা যখন কেউ ভাবল না তখন বসে আর কি হবে
তাই নিজের গড়া প্রাসাধ এখন নিজেরাই ভাংছি।কিন্তু ভেঙ্গে যে কোথায় যাব জাান না। আশু খোলা আকাশের নীচে রাস্তায় ঠাই নিয়েছি।তারা আরো বলেন প্রতিদিন কাজ করে সংসার চলে,কাজে যেতে না পারলে সংসার চলে না।ঘর ভেঙ্গে সময় কেটে যাচ্ছে।কি খেয়ে যে ঘর ভাংচুর ও মালামাল রক্ষা করবো তার ব্যবস্থা নেই। আমরা এখন ভাসমান শেওলা,জানিনা কোথায় হবে শেষ ঠিকানা।নদী খনন প্রসংগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স‘র প্রতিনিধি বাবুল আক্তার জানান খননে কোন বাঁধা নেই।তাই নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।পানি উন্নায়ন বোর্ড খুলনার এসও রাশিদুল ইসলাম জানান কাজের দিকে সর্বদা তদরকী রয়েছে আশাকরি নিধরিত সময় ১৮/১৯ অথর্ বছরে কাজ শেষ হবে।