রবিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণ কাজে নিুমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ
পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণ কাজে নিুমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণ কাজে নিুমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিুমানের খোয়া ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের শতবছরের পূর্বের ভবনটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় পুরাতন ভবনের পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে দ্বিতল নতুন ভবন। ভবন ও প্রাচীর নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ টাকা। খুলনার মিথিলা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সাল থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে ভবনের এবং প্রাচীরের অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছেন নিুমানের উপকরণ। গত কয়েক মাস আগে ঠিকাদার ছাদের ঢালাইয়ের জন্য মজুদ করেন নিুমানের খোয়া। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী নিুমানের ওই খোয়া ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়। কয়েকমাস পর আবারও ছাদের অবশিষ্ট কাজে ফেলে রাখা খোয়া ব্যবহার করার জন্য ঠিকাদার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক জানান, গত কয়েকমাস আগে ঠিকাদার নিুমানের খোয়া ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। যা পরবর্তীতে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকেন। পুনরায় ফেলে রাখা ওই খোয়া ব্যবহার করার চেষ্টা করলে রোববার এলাকাবাসী তা বন্ধ করে দেয়। এ ধরণের নিুমানের উপকরণ দিয়ে ভবন নির্মাণ হলে নির্মিত ভবন টেকসই হবে না বলে তিনি জানান। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান শিকদার জানান, এতদিন পর্যন্ত কোন সিডিউল পায়নি। রোববার সকালে ঠিকাদারের লোক আমার টেবিলে সিডিউলের একটি কপি রেখে গিয়েছে। তবে আমি এখনো পর্যন্ত বিস্তারিক কিছু দেখতে পারিনি। ফেলে রাখা খোয়া ঢালাইয়ের জন্য উপযোগী কিনা তা যাচায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা পরীক্ষার জন্য নিয়ে গেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত উল্লেখিত খোয়া ব্যবহার করা যাবে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এম শওকত আলী বিশ্বাস জানান, ভাল মানের ইট কিনে ছিলাম, এর মধ্যে কিছু নিুমানের থাকতে পারে। তবে নির্মাণ কাজে প্রকৌশলীদের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।