রবিবার ● ৯ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » কয়রায় সুন্দরবনের ৬ বাঘ শিকারী বন্দুক যুদ্ধে নিহত অস্ত্র সহ ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় সুন্দরবনের ৬ বাঘ শিকারী বন্দুক যুদ্ধে নিহত অস্ত্র সহ ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার
হারুন-অর-রশিদ, কয়রা প্রতিনিধি: কয়রা উপজেলার চরামুখা গ্রাম থেকে পুলিশ ৩টি বাঘের চামড়া সহ ৯ জনকে আটক করেছে। রোববার ভোর ৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরেন্দ্রনাথ সরকার সঙ্গীয় পুলিশ ১ মহিলা সহ ৭ জন কে আটক করেন। আটককৃতরা হলেন, চরামুখা গ্রামের বাঘ শিকারী শফিকুল গাজী (৩৯) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), সিদ্দিক সানা (৩৭), আনছার সানা (৪৮), বাপ্পি ঢালী (২৭), মামুন (২৫) এবং নূর জামাল (৫০)। এছাড়া পরে একই গ্রামের নজরুল সানা (৩১) ও আব্দুল্যাহ সানা (৪০) কে আটক করেছেন পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে সরেজমিনে জানা গেছে, এই গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি সুন্দরবনে বাঘ শিকার করে। কেননা, একটি বাঘের চামড়া গ্রামে আনলেই ৪/৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। আর এ চামড়া বেচা-কেনার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতা সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জড়িত। এলাকাবাসী জানায়, আটক ব্যক্তিরা সুন্দরবনে কখনও বন্দুক আবার কখনও ফাঁদ পেতে বাঘ শিকার করেন। এ বিষয়ে আরো জানা গেছে, আটক শিকারীরা বাঘের চামড়া, হাড় এবং গোপের লোম বিক্রি করে প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকায়। উক্ত চামড়া সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পাচার হয় বলেও শোনা গেছে। সূত্র জানায়, ঘড়িলাল বাজারে চাউল ব্যবসায়ী খোকন গাজীর চাউল আনার ট্রলারে বাঘ-হরিণের চামড়া সহ অন্যান্য মালামাল সাতক্ষীরায় পাচার হয়ে সেখানের কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়ে থাকে। উক্ত চামড়া পাচারের সাথে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মজনু গাজী, বুলবুল সরদার, চাউল ব্যবসায়ী খোকন গাজী, কাঁকড়া ব্যবসায়ী কোহিনুর গাজী ও সৈয়দ আলী মোল্যা শিকারীদের কাছ থেকে চামড়া ও বাঘের শরীরের অন্য অংশ সাতক্ষীরাতে পাচার করেন বলে শোনা গেছে। উল্লেখ্য, রোববার সকালে ধৃত ৭ জনকে কয়রা থানায় আনার কিছুক্ষণ পর নাজমা বেগম কে রেখে অপর ৬ জন কে নিয়ে পুলিশ সুন্দরবনে অস্ত্র উদ্ধারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, সুন্দরবনে মান্দারবাড়ীয়া নামক স্থানে বন্দুক যুদ্ধে আটক ৬ জন নিহত হয়। নিহতদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ আর কিছু জানায়নি।