শনিবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছা পৌরসভায় ৫ বছরে ৩০ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন; জুন মাসের মধ্যেই হচ্ছে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
পাইকগাছা পৌরসভায় ৫ বছরে ৩০ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন; জুন মাসের মধ্যেই হচ্ছে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হচ্ছে পাইকগাছা পৌরসভা। গত ৫ বছরে ৩টি ধাপে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ২৫ কিলোমিটার লাইনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ঠ ৫ কিলোমিটারের চলমান কাজ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে ধারণা করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ।
সূত্রমতে, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারী বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তৎকালীন গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন উপজেলা সদরের আংশিক এলাকা নিয়ে পাইকগাছা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘদিন পৌরসভাটি উন্নয়ন থেকে যেমন ছিল বঞ্চিত তেমনি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় ছিলনা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ফলে উন্নত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল পৌরবাসী। পৌরবাসীর প্রধান সমস্যা বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে দীর্ঘ মেয়াদী উদ্যোগ নেন বর্তমান মেয়র মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি ২০১১ সালে নির্বাচিত হয়ে ধাপে ধাপে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাকে দ্বিতীয় এবং প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। পানির সমস্যার সমাধান সহ গোটা পৌর এলাকা করেছেন আলোকিত। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়ীতে বাড়ীতে পৌঁছে দিয়েছেন বিদ্যুৎ। ৩টি ধাপে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানার মাধ্যমে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বিদ্যুতায়ন করেন। এরপর বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালে ১৫ কিলোমিটার ও ২০১৭ সালে ৫ কিলোমিটার বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ নেন। যার মধ্যে বর্তমানে ৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ৫ কিলোমিটারের কাজ শেষ হলে গোটা পৌর এলাকা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় চলে আসবে বলে ধারণা করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভার বান্দিকাটী গ্রামের কওছার আলী গোলদার জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘদিন বিদ্যুতের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলাম। বর্তমান মেয়রের প্রচেষ্টায় এলাকার প্রতিটি বাড়ীতে পৌছে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, আমি যখন নির্বাচিত হই, তখন পৌরসভার বাতিখালী, শিববাটী, সরল, বান্দিকাটী ও গোপালপুর এলাকার বিস্তির্ণ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় ছিল না। অন্যান্য উন্নয়নের পাশাপাশি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুতের সুযোগ সুবিধা সকল মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য উদ্যোগ নেই। গত ৫ বছরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। যার মধ্যে ৫ কিলোমিটার কাজ চলমান রয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আশা করছি সকল কাজ সম্পন্ন হবে। আর এটি হলে বর্তমান সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি বাস্তবায়ন হবে।