রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরো অধিক ৭শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে
পাইকগাছায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরো অধিক ৭শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা ॥
পাইকগাছায় লক্ষ্যমাত্রা থেকে আরো অধিক ৭শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে। বোরো ধানের চারারোপন পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। কৃষকরা বোরো আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও সরিষার আবাদ কম হওয়ায় কৃষকরা অধিক জমিতে বোরো আবাদ করছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৭শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে। উপজেলায় ২ হাজার ৭শ ৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রায় ৩৫শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে। বোরো আবাদের জন্য ২ শত ২৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩৫শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩২ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে হাই ব্রিড ধানের ফলন বেশি হওয়ায় কৃষকরা হাই ব্রিড ধানের চারা রোপন হয়েছে বেশি। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উফসি ১২শ হেক্টর ও হাই ব্রিড ২৩শ হেক্টর জমির রোপন কাজ প্রায় সম্পন্ন হতে চলেছে। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল, গোপালপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান জানায়, এ বছর কয়েকদিনের প্রচন্ড শীতে বীজতলার চারা কিছুটা হলুদ বর্ণের ধারণ করলেও নিয়মিত পরিচর্যা করায় বীজতলা নষ্ট হয়নি। আমন ধান দেরিতে পাকায় বোরোচাষ একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। তারা জানায়, ঠিকমত পানি সরবরাহ না থাকায় বোরো চাষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শীতের মধ্যে কৃষকরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছে। হঠাৎ শীত বেশি পড়ায় ধানের চারা রোপনের পর কিছু কিছু চারা লালছে হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিনের তীব্রশীতে বোরোর কিছু কিছু বীজতলায় চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করলেও বীজতলার কোন ক্ষতি হয়নি। বীজতলা সুরক্ষার জন্য তীব্র শীত ও কুয়াশা থেকে রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। তবে হঠাৎ তীব্র শীত ও কুয়াশার কারনে সূর্যের আলো কম পাওয়া যাচ্ছে। আর এসময় কৃষকরা চারা রোপন করার রোপনকৃত চারা থেকে শেকড় জন্ম নিতে না । তাছাড়া সূর্যের আলো ঠিকমত না পাওয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পাচ্ছে না। এর ফলে রোপনকৃত কিছু চারা বিবর্ণ ও লাল হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য জমিতে সন্ধ্যায় স্যালোর সাহায্যে পানি ভরে দিয়ে সকালে তা বের করে দিতে হবে। শীত কমে গেলে এ সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া লবনাক্ত উপকূল এলাকার চাষাবাদ কিছুটা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। এ বছর ধানের দাম বেশি ও হাই ব্রিড ধানে ফলন বেশি হওয়ায় উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো বেশী ৭শ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হচ্ছে।