শনিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনির পল্লীতে বেতনা নদীর চর থেকে ভ্যান চালক বুড়োর লাশ উদ্ধার
আশাশুনির পল্লীতে বেতনা নদীর চর থেকে ভ্যান চালক বুড়োর লাশ উদ্ধার
আহসান হাবিব, আশাশুনি: আশাশুনির পল্লীতে বেতনা নদীর চর থেকে ভ্যান চালক ইসরাফিল ইসলাম বুড়োর (১৯) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ঢালীর ঘের সংলগ্ন বেতনা নদীর চরে। সরজমিনে ঘুরে স্থানীয় ও তার পরিবার সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকালে উপজেলার কূল্যা গ্রামের মোসলেম সরদারের পুত্র হালকা মানসিক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালক ইসরাফিল ইসলাম অরপে বুড়ো প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ী থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। সন্ধ্যার পর তার পরিবারের লোকজন তাকে বহু খোজাখুজি করে সন্ধান পায়নি। রোববার সকালে তার শ্বশুর বাড়ী নওয়াপাড়া এলাকায় সিরাজুল ঢালীর ঘের সংলগ্ন বেতনা নদীর চরে সকালে পথচারীরা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ শাহিদুল ইসলাম শাহিন, এসআই প্রদীপ কুমার সানা ঘটনা স্থলে পৌছে চর থেকে বুড়োর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। এসআই প্রদীপ সানা জানান, সুরতহাল করার সময় তার গলায়, বুকে ও হাতে-পায়ে রশি বা আঁচড়ানোর দাগ পাওয়া গেছে। অফিসার ইনচার্জ শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, প্রাথমিক দৃষ্টিতে অনুমান করা যাচ্ছে তাকে ওই নির্জন স্থানে নিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে নদীর চরে ফেলে রেখে গেছে দূর্বৃত্তরা। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড হয়েছে তার সঠিক তথ্য উৎঘাটন না হলেও মূল্যবান ব্যাটারী চালিত ভ্যান ছিনতায় বা শ্বশুর বাড়ীর সাথে সম্পর্কের অবনতির কারনেও হতে পারে বলে ধারনা করা যেতে পারে। সঠিক তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছি। তবে নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ না দিলেও সাধারণ ডায়েরীভূক্ত করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ ইসরাফিল ইসলাম বুড়ো কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় এত অল্প বয়সে ৩টি বিয়েতে বসেছে। ২টি তালাক প্রাপ্ত হলেও সর্বশেষ বিয়ে হয় ঘটনা স্থলের পার্শ্ববর্তী নওয়াপাড়ার হাকিম সরদারের কন্যা সোনিয়া বিলকিসের সাথে। সেখানেও ‘কিং কর্তব্য বিমুড়’ বিগত ৪ মাস পূর্বে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হলেও সোনিয় বিয়ের পর থেকে প্রায় ঢাকায় অবস্থান করে এছাড়া দীর্ঘদিন উভয় পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। নিহতের মাতা এ প্রতিবেদকে জানান, বুড়ো প্রত্যাহ ভ্যান ভাড়া চালানোর ফাঁকে কূল্যার মোড়ে অন্যান্য ভ্যান চালকদের সাথে সময় কাটাত। তাছাড়া, গত ২/৩ দিন পূর্বে সোনিয়ার ভাই বুড়োকে হুমকি দিয়ে বলেছে, সত্তর আমার বোনকে তালাক প্রদান করবি, নতুবা তোর লাশ গুম করে নদীতে ভাসিয়ে দেব। পুলিশ এসব খতিয়ে দেখতে এখন শাড়াসী অভিযানে নামবে বলে থানা সূত্রে জানাগেছে।