শুক্রবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় ভাঙ্গন কবলিত হিতামপুর এলাকার ক্লোজার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে
পাইকগাছায় ভাঙ্গন কবলিত হিতামপুর এলাকার ক্লোজার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ নূরুল হকের প্রচেষ্টায় কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিমাতপুর ক্লোজার ও বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। শুক্রবার আওয়ামীলীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন। এ দিন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতেই শত শত শ্রমিকরা দ্বিতীয় বারের প্রচেষ্টায় ভাঙ্গনরোধ করতে সক্ষম হয়। এরআগে একবার চেষ্টা করা হলেও পানির প্রবল স্রোতে তা ভেসে যায়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ নভেম্বর কপোতাক্ষের ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৬ নং পোল্ডারের গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুরস্থ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এতে গদাইপুর, হিতামপুর, সিলেমানপুর সহ কয়েকটি গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে আমন ফসল ও চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বাঁধরোধ করতে সক্ষম না হওয়ায় গত ৩ মাস অত্র এলাকা প্লাবিত থাকে। ফলে ফসল উৎপাদন ও চিংড়ি চাষ করতে না পারায় এলাকার শত শত মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ নূরুল হক ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন রোধ সহ বাঁধ সংস্কারের ব্যাপারে জাতীয় সংসদে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ৬০ মিটার ক্লোজার ও ৫শ মিটার দৈর্ঘের বিকল্প বাঁধ নির্মাণে ৫৯ লাখ টাকা প্রক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করে ৯ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। যদিও নির্মাণ কাজ শেষ নামাতে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২৭ ডিসেম্বর ক্লোজার নির্মাণ করার মাধ্যমে ভাঙ্গনরোধ করার চেষ্টা করলে নদীর প্রবল পানির স্রোতে তা ধ্বসে গেলে প্রথম বারের নির্মাণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। সর্বশেষ দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শুক্রবার সকালে শত শত শ্রমিক নিয়োগ করে নির্মাণাধিন ক্লোজার রোধ করা সম্ভব হয়। আ’লীগনেতা ও এমপি পুত্র আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম এবং পাউবো’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ উপস্থিত থেকে নির্মাণ কাজের সার্বিক তদারকি করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ ইলিয়াস, নড়াইল পওর উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ওয়াজেদ আলী চাকলাদার, খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সাইদুর রহমান, পাইকগাছার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, শহীদ উল্লাহ মজুমদার, ফরিদ উদ্দীন, আবু তাহের গাজী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মোঃ আজগর আলী খান ও শেখ রাসেল কবির। অবশেষে ক্লোজার নির্মাণ করার মাধ্যমে ভাঙ্গনরোধ করতে সক্ষম হওয়ায় এলাকাবাসী সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাজ যে গতিতে এগিয়ে চলছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষ আবারও ফসল উৎপাদন ও চিংড়ি চাষ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।