শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » মাগুরার দুই ভাষা সৈনিক বন্ধু
প্রথম পাতা » বিবিধ » মাগুরার দুই ভাষা সৈনিক বন্ধু
৪৪২ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাগুরার দুই ভাষা সৈনিক বন্ধু

---

এস.আলম তুহিন, মাগুরা
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে  মাগুরায় যারা নেতৃত্ব দেন তাদের অধিকাংশই এখন বেঁচে নেই। তবে সে আন্দোলনে সামনে থেকে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম খান জিয়াউল হক ও আমিনুল ইসলাম চান্দু মিয়ার বন্ধুত্ব এখনো অটুট। এ আন্দোলনে মাগুরায় একসাথে গ্রেফতার হন দুজন। এই সাংবাদিকের সাথে একান্ত আড্ডায় সেদিনের স্মৃতিচারণ সহ নানা কষ্টের কথা তুলে ধরেন দুই বন্ধু।
মাগুরার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খান জিয়াউল হক ১৯৫০ সালে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলনে তিনি প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখতে শুরু করেন।
তিনি বলেন, যেহেতু মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলোম তাই মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ আমাকে ভাষা আ্ন্দোলন থেকে সরে আসতে বলে। বাধ্য হয়ে মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে সাধারণ ছাত্রদেরকে নিয়ে মিছিলে যোগ দ্ইি। মুসলিমলীগ নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশের বাধার কারণে একসময় নিজ বাড়ি মাগুরায় চলে আসি। তখনো মাগুরায় তেমন কোন আন্দোলন শুরু হয়নি। আবু মিয়া সংগঠিত করছিলেন সবাইকে। আমি, চান্দু মিয়াও কাজ শুরু করি। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঘটনা জানতে পেরে আমরা মাগুরার সংগঠক নাসিরুল ইসলাম আবু মিয়ার সাথে দেখা করি । সেখান থেকেই ঠিক করা হয় যে, পরদিনই  মিছিল ও সমাবেশ করা হবে। সেদিন সকালেই সবাই সেগুন বাগিচায় একত্রিত হই। সেখানে আবু মিয়ার সভাপতিেেত্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে আমরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে আসতেই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ছাত্রভঙ্গ করে দেয়।  অন্যরা নিরাপদ স্থানে সরে গেলেও আমি, জলিল খান এবং চান্দু মিয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ি। আমাদেরকে পার্শ্ববর্তী জিআরও অফিসে বসিয়ে রাখা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়া হলে আমরা নোমানী ময়দানে পূনরায় একত্রিত হই।
৯০ বছর বয়সী খান জিয়াউল হকের প্রায় সমবয়সী বন্ধু আমিনল ইসলাম চান্দুমিয়া সেদিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি তখন বাম সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলামর খান জিয়াউল হক মাগুরা এলে দু বন্ধু মিলে আবু মিয়ার কাছে গেলাম। উনি আমাদেও পেয়ে খুব খুশি হলেন। ২ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় গুলি চালানো হলে আমরা সিদ্ধ্ান্ত নিই মিছিল সমাবেশ করব। সবাইকে সংগঠিত করা শুরু করি। পরদিন একটি বিশাল মিছিল নোমানী ময়দান থেকে বের হয়। চৌরংগীমোড়ে পৌছানো মাত্র পুলিশ আমাদেরকে ছাত্রভঙ্গ করে দেয়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাকে, খান জিয়াউল হক ও জলিল খানকে পুলিশ আটকে রাখে। বিকালে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় বাইরে মির্জা শওকত এবং আজিম দেওয়ান বিক্ষোভ করে।
চান্দু মিয়া বলেন, ফেব্রুয়ারি এলেই সাংবাদিকরা আসেন কথা বলেন ভালোই লাগে। কিন্তু ভাষা সৈনিক হিসেবে আজ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কোন অনুষ্ঠানে ডাক পেলাম না।
খান জিয়াউল হক বলেন, নতুন প্রজন্ম ভাষা সৈনিকদের গুরুত্ব দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে যেমন সমাহিত করা হয় তেমনি ভাষাসৈনিকদেরও করা হোক। আর সঠিক ইতিহাস রক্ষার সার্থে ভাষাসৈনিকদের প্রকৃত তালিকা করা জরুরি।





বিবিধ এর আরও খবর

পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময়
উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন
খুলনায় দিন ব্যাপী সৌন্দর্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনায় দিন ব্যাপী সৌন্দর্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নড়াইলে গণপ্রকৌশল দিবস পালিত নড়াইলে গণপ্রকৌশল দিবস পালিত
মাগুরায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত মাগুরায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
কয়রায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন কয়রায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য প্রবাসে গিয়ে লাশ ফিরলেন  নাজিমুদ্দিন পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য প্রবাসে গিয়ে লাশ ফিরলেন নাজিমুদ্দিন
এইচএসসিতে বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, আটক ৫৩ এইচএসসিতে বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, আটক ৫৩
মাগুরায় জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স মাগুরায় জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)