মঙ্গলবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ার রমকৃষ্ণপুরে রাস্তার উপর বাঁশের সাকো ঃ চরম দূর্ভোগে এলাকাবাসি
ডুমুরিয়ার রমকৃষ্ণপুরে রাস্তার উপর বাঁশের সাকো ঃ চরম দূর্ভোগে এলাকাবাসি
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় রংপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর এলাকায় বটতলা সড়কে প্রায় ৫‘শ ফুট সড়ক চলতি বর্ষা মৌসুমে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে।এলাকাবাসির উদ্যোগে ভাঙ্গা সড়কের উপর বাঁশের সাকো নির্মান করে
চলাচল করছে এলাকাবাসি।দেখলে মনে হবে নদীর উপর বাঁশের সাকো।স্থানীয় শান্তিনগর স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিনিয়ত পাড়ী দিতে হয় সাকোটি।চলাচল করতে হয় শত শত নারী-পূরুষের।সাকোটি এখন এলাকাবাসির ভোগান্তীর অন্যতম কারন।আর ভোগান্তীর জন্য ইউনিয়ন পরিষদ দায়ী,বলে অভিযোগ এলাকাবাসির।তবে আসছে শুকনা মৌসুমে সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে এলাকাবাসির দূর্ভোগ লাঘব করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।সরেজমিনে গিয়ে ভ’ক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানাযায়
ডুমুরিয়ার গফফার সড়ক হয়ে রামকৃষ্ণপুর-আমভিটা অভিমুখে বয়ে যাওয়া সড়ক থেকে নেমে গেছে বটতলা সড়ক নামের একটি গুরুত্বপূর্ন ফিডার সড়ক।সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে শত-শত এলাকাবাসি ও শান্তিনগর স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী। বহন করতে হয় বিলে উৎপাদিত কৃষিজ পন্য।কিন্ত চলতি বর্ষ মৌসুমের শুরুতে প্রবল বৃষ্টিতে সড়কটিতে ভাংগন লাগে।একে একে প্রায় ৫‘শ ফুট সড়ক ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।্এক পর্য়ায়ে লোক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।শুরু হয় এলাকাবাসির সিমাহীন দূর্ভোগ।ভাঙ্গন এলাকার আঃ হামিদ মোল্লা,বাহারুল মোল্লা,আবুল কাশেম বাওয়ালী,আলামিন ঢালী, ইন্দ্রজিৎ মন্ডল,প্রতীশ মন্ডল সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন ভাঙ্গন শুরুর প্রথম পর্যায়ে আমরা এলাকাবাসি মিলে স্থানীয় ইউপি পরিষদে যাই এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাধ কে বিষয়টি জানাই।কিন্তু তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে না নিয়ে আমাদের চলে আসতে বলেন।আমরা চলে আসার পর তিনি আর কোন খোঁজ-খবর নেয়নি।শুরুতে অল্প যায়গা ছিল।এখন তা ভেঙ্গে প্রায় ৫‘শ ফুট এলাকা জুড়ে নিয়েছে।এখন আমদের দূর্ভোগের শেষ নেই।স্কুলে যেতে পারছেনা ছাত্র-ছাত্রীরা।উপায়ন্ত না পেয়ে স্থানয়িদের উ্দ্যোগে বাঁশের সাকো নির্মান করে কোন রকম চলাচল করছি।জানিনা এ দূর্ভোগ থেকে
কবে রেহাই পাব।আপনার ইউনিয়নে সড়কের উপর বাঁশের সাকো,এলাকাবাসি রয়েছে সিমাহীন দূর্ভোগে বিষয়টি আপনি জানেন কিনা ? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাধ বলেন বিষয়টি জেনেও কিছু করার ছিলনা।কারন বর্ষা মৌসুমে মাটি পাব কোথায়।তবে আসছে শুকনা মৌসুমে সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে এলাকাবাসির দূর্ভোগ লাঘব করা হবে।এ প্রসংগে উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন
বিষয়টি যখন জেনেছি তখন আর করার ছিলনা কিছু।তবে তাদের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য সবকিছু করা হবে