শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় ভাল নেই শরাফপুর জেলে পল্লীর লোকেরা
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় ভাল নেই শরাফপুর জেলে পল্লীর লোকেরা
৯৩২ বার পঠিত
সোমবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডুমুরিয়ায় ভাল নেই শরাফপুর জেলে পল্লীর লোকেরা

---
অরুণ দেবনাথ !! ডুমুরিয়া।
ডুমুরিয়ায় ভাল নেই শরাফপুর জেলে পল্লীর লোকেরা।নুন আনতে পানতা ফুরাচ্ছে তাদের।বাধ্য হয়ে পূর্ব পূরুষের সেই মাছধরা পেষা ছাড়ছে আনেকেই।বেছে নিচ্ছে অন্য পেষা।নদীর কুলে এখন আর দেখা মিলছেনা শতশত নৌকার সারি।হারিয়ে যাচ্ছে চির চেনা জেলে পল্লীর সেই দৃস্য।কালের বিবর্তনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে জেলে পল্লীর ঐতিহ্য।এখন আদি পেষায় মিলছেনা অন্ন,বস্ত্র ও বাসস্থান। আর এ জন্য ছোট
নদীতে খর ¯্রােত না থাকায় মাছ কম,বড় নদীতে মৎস্য অফিস,নৌ পুলিশ ও কোষ্টগার্ড এবং জঙ্গলে বন দস্যুর উৎপাত কে দায়ী করেছেন তারা।আশু সরকারের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিতা না পেলে পথে বসবে তারা।এমটি জানিয়েছেন জেলে পল্লীর অনেকে।সরোজমিনে গিয়ে কথা হয় শরাফপুর জেলে পল্লীর মহেন্দ্র নাথ সরকার,শেখর সরকার,প্রহলাদ সরকার,ময়না সরকার,পঞ্চি বিশ্বাস সহ অনেকের সাথে। তারা তুলে ধরেন তাদের জীবন-জীবিকা ও সুখ দুঃখের কথা।তারা জানান শরাফপুর জেলে পল্লীতে প্রায় দু‘শতাধিক জেলে পরিবারের বসবাস।পূর্ব পূরুষের আমল থেকে তারা বসবাস করে আসছে ভদ্রা নদীর তীরে গড়ে ওঠা জেলে পল্লীতে।যেখানে ছিল নদীর কুলে শত শত নৌকার সারি।শান্তির জীবন ধারা। জোয়ারের বান,পাখির কলতান,মাছধরার প্রতিযোগিতাসহ অনেক কিছু।কিন্তু সেসব যেন হারিয়ে যাচ্ছে কালের বিবর্তনে। কেন হারিয়ে যাচ্ছে সুখের ঠিকানা ? এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান পাশেই রয়েছে ভদ্রা,পশুর,শিবশা সহ অনেক নদী।সম্প্রতি নদী গুলিতে নেই খর ¯্রােত।দিনে দিনে নদী হারিয়ে ফেলছে তার চলার গতি ও নাব্যতা।নদীতে নেই খর¯্রােতা,যে কারনে এসব নদীতে মাছনেই বললে চলে।দিন-রাত দু‘বার জাল ধরে যে মাছ পাই তা দিয়ে জুটছে না অন্ন-বস্ত্র।চলছে না সংসার ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ।আবার একটু বেশী মাছের আশায় খর ¯্রােতবাহী নদী ও জঙ্গলে যাওয়ার উপায়নাই।সেখানে রয়েছে মৎস্য অফিস, বন বিভাগ, নৌ পুলিশ ও কোষ্টগার্ড এবং জঙ্গলে বন দস্যুর উৎপাত।তাই হেরে যাচিছ জীবন যুদ্ধে। হারিয়ে যাচ্ছে সুখের ঠিকানা।জেলেপেষা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছি কথা হয় এমনি কয়েকটি পরিবারের সাথে।তারা জানান নদীর ¯্রােত ও বন দস্যুরা আমাদের বাধ্য করেছে এ পেষা ছাড়তে।জেলে বলে কথা,কে শোনে তাদের কথা আর কেবা রাখবে তাদের খবর।এ ভাবে সংসার চলে না তাই বেছে নিয়েছি ভ্যান গাড়ী,দিন মুজুর
সহ অন্যান্য পেষা।আশু সরকারের আর্থিক ও সার্বিক সহেতা না পেলে পথে বসতে হবে সকলকে।আর
পাল্টে যাবে জেলে পল্লীর নামকরন।কেবল মাত্র সরকারের আর্থিক সহেতা প্রদান,মৎস্য অফিস,নৌ পুলিশ  কোষ্টগার্ড এবং বন দস্যুর উৎপাত থেকে বাঁচলে বাচবে জেলে পল্লী ও জেলে সম্প্রদায়।উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রী এ প্রসংগে জানান জেলেদের কারেন্ট জাল সকল প্রকার মাছ নিধনের
অন্যতম কারন।যে কারনে বাধা তো থাকবে।এর আগেও তো বাধা ছিল।মৎস্য আইন মেনে চলতে হবে। জীবন মানেই সংগ্রাম,এর মধ্যদিয়ে বাঁচতে হবে।দেশ ও নিজেদের স্বার্থে বাঁচাতে হবে মৎস্য সম্পদ।





বিবিধ এর আরও খবর

পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসি’র মতবিনিময়
উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন
খুলনায় দিন ব্যাপী সৌন্দর্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনায় দিন ব্যাপী সৌন্দর্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নড়াইলে গণপ্রকৌশল দিবস পালিত নড়াইলে গণপ্রকৌশল দিবস পালিত
মাগুরায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত মাগুরায় জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
কয়রায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন কয়রায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য প্রবাসে গিয়ে লাশ ফিরলেন  নাজিমুদ্দিন পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য প্রবাসে গিয়ে লাশ ফিরলেন নাজিমুদ্দিন
এইচএসসিতে বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, আটক ৫৩ এইচএসসিতে বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, আটক ৫৩
মাগুরায় জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স মাগুরায় জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)