বুধবার ● ৭ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » তালায় ইরি বোরা চাষাবাদে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
তালায় ইরি বোরা চাষাবাদে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
মো.রিপন হোসাইন॥
তালায় ইরি বোরা চাষাবাদ লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে। এবছর লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশী পরিমান জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। বিগত কয়েকবছর উপজেলায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে ইরি বোরো চাষাবাদে কিছুটা বিঘœ ঘটেছে। এ বছর বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপকহারে ইরিবোরো চাষাবাদ হয়েছে। আমন চাষ কিছুটা কম হলেও ইরিবোরো চাষাবাদে পুষিয়ে নিতে অনেক আগেভাগে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। তাছাড়া ধানের মুল্য বেশি থাকাতে কৃষক ধান চাষে বেশ ঝুকে পড়েছে। অনেক নিচু এলাকায় পানি সেচের মাধ্যমে ও কৃষক চাষাবাদ করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বিলে ইরিবোরো চাষে সবুজ ফসলের সমারোহ। উপজেলার শতকরা ৮০জন কৃষকই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।এর মধ্যে প্রায় ৪হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া খলিলনগর,মাগুরা ,ইসলামকাটি, তালা সহ উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশী জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার তৈলকুপি গ্রামের আবুহোসেন জানান আবহাওয়া ও প্রকৃতির কারনে এবছর আমার ব্লকে গতবারের চাইতে বর্তমানে ধান ভাল বুঝা যাচ্ছে এ বছর আমি ব্রি-ধান ২৮ ১৫বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ধানদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান এবছর আমাদের এলাকায় ধানের ফলন খুব ভাল দেখা যাচ্ছে, যদি এভাবে শেষ নামে তাহলে বাম্পার ফলন হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম জানান এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে অনেক নতুন নতুন এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি জমিতে ইরিবোরো চাষাবাদ হয়েছে। গতবছর তালায় অনেক এলাকায় ব্লাস্টরোগের আক্রমনে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল এ বছর কৃষকদের আগাম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে ব্লাস্ট আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবছর উপজেলায় ব্রি-ধান ২৮ বেশী পরিমান জমিতে চাষাবাদ হয়েছে তাছাড়া বিনা-৮, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষœু ধান চাষাবাদ হয়েছে।