রবিবার ● ১১ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় ৬টি ইউনিয়ন অফিসের কাঁধে ভুমি ব্যবস্থাপনা ঃ নানা ভোগান্তীতে সেবা প্রত্যাশীরা
ডুমুরিয়ায় ৬টি ইউনিয়ন অফিসের কাঁধে ভুমি ব্যবস্থাপনা ঃ নানা ভোগান্তীতে সেবা প্রত্যাশীরা
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া, খুলনা।
ডুমুরিয়ায় মাত্র ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাঁধে ভর করে চলছে বৃহৎ এ উপজেলার ভুমি ব্যাবস্থাপনা কার্যক্রম।এতে সেবা পেতে গ্রাহকদের ছুটতে হয় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। ভূমি অফিসের কাজ শেষ করতে কেটে যায় প্রায় সারাটি দিন।ফলে সেবা প্রত্যাশীদের প্রতিনিয়ত সময় ক্ষেপন,আর্থিক ও মানুষিক ভোগান্তীর শিকার হতে হয় এমন অভিযোগ অনেকের।এ দিকে যুগ যুগ আগের নির্মিত টিন সেডের ভূমি অফিস ও তার অবকাঠামো দির্ঘ দিন মেরামত বা নুতন ভাবে নির্মিত না হওয়ায় নিজেরাই যেন সুস্থ্য হয়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।কবে থেকে ঘর গুলি এভাবে দাড়িয়ে আছে এমন তথ্য নেই ভূমি অফিসের হাতে।তবে শীগ্রই প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভূমি আফিস নির্মিত বলে জানিয়েছেন উপজেলা ভূমি অফিস।সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক,সংশ্লিষ্ট নায়েব ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র সাথে কথা বলে জানা যায় বৃহৎ এ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে রয়েছে ২০৪ টি মৌজা।প্রায় অর্ধশত বছর ধরে মৌজা গুলির ভুমি ব্যবস্থাপনা কাজ চলছে মাত্র ৬ টি ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কাঁধে ভর দিয়ে।ব্যপক এলাকার দায়িক্ত ভার নিয়ে টিন সেডের ভূমি অফিস ঘর গুলি স্থাপিত হয়েছে উপজেলার শরাফপুর-–মাগুরখালী বানিয়াখালী বাজার,শোভনা-খর্নিয়া বাজার,রুদাঘো ইউপি ভবনের সামনে,আটলিয়া-মাগুরাঘোনা চুকনগর বাজার,গুটুদিয়া-রঘুনাথপুর থুকড়া বাজার ও ডুমুরিয়া সদর।এ ছাড়া সাহস মাঠের হাট এলাকায় নুতন একটি ভূমি অফিস নির্মিত হলেও এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। গ্রাহক সেবা প্রসংগে কথা হয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা মাগুরখালী ্এলাকার অরুন গোলদার ,ঝরঝরিয়া এলাকার কার্তিক মন্ডল,গুটুদিয়া এলাকার সেলিম সরদার,মাগুরাঘোনা এলাকার জানুকিলাল রায় সহ অনেকের সাথে।তারা জানান বহু টাকার পথ পেরিয়ে এসেছেন তারা সেবা নিতে। কিন্তু পথ এত বেশী যে পুরা দিন শেষে সন্ধ্যায় ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরতে হয় তাদের উপর অফিসে জায়গা ও আসবাপত্র সংকটে বেশীর ভাগ সময় দাড়িয়ে থাকতে হয়।এটা একদিকে যেমন কষ্টের,তেমনি ব্যায় বহুল ও সময় ক্ষেপন, কত যুগ পেরিয়ে গেলও এভাবে আর কত দিন এমন প্রশ্ন তাদের সকলের।কথা হয় টিন সেড বিশিষ্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা তহসিলদার কাজী আমিরুল ইসলাম ও আলী ্আহম্মেদ এর সাথে।তারা জানান টিন সেডের ঘরে গরম,শীত ও বর্ষায় সমাস্যর শেষ নেই।গরম কালে প্রচন্ড গরম আবার শীতে কুয়াশার পানি এবং বর্ষায় ঘরে পানি,আসবাপত্র ভিজা সহ নানা ভোগান্তীতে পড়তে হয়।টিন সেডের ঘরগুলি কবে স্থাপিত ? এমন প্রশ্নে উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়ে তারা প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বলেন এমন ঘরে অফিসের মুল্যবান নথি পত্র রাখাটা বেশ ঝুকির।কথা হয় সহকরি কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান খানের সাথে।তিনি জানান উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ভূমি অফিস হবে।ইতিমধ্যে গুটুদিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনুমোদিত হয়েছে।পর্যায় ক্রমে সব গুলি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।