শুক্রবার ● ২৩ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » কেশবপুরের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ॥ প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
কেশবপুরের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ॥ প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) থেকে ॥
যশোরের কেশবপুরের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়াগেছে। প্রতিবাদে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শুক্রবার সকালে কেশবপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে মুক্তিযোদ্ধা অসীত কুমার মোদক বলেন, মোঃ মিজানূর রহমান গত বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করে স্থানীয় সাংসদ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক-এর নির্দেশনা অনুযায়ী সকল সেক্টরে উন্নয়নে সচেষ্ট হন। তিনি ইতিমধ্যে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। যারফলে প্রতিটি পরীক্ষা নকল মূক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেক্টরে তাঁর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তিনি ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করে কেশবপুর শহর থেকে যানজট নিরসন করেছেন। জনসাধারণকে ভূমি সেবা প্রদানের জন্য তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি কৃষিতে উন্নয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে মাধ্যেমে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ ও স্বল্প সূদে লোন বিতরণ তাঁর নেতৃত্বে চলমান রয়েছে। মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, সমাজসেবা, সমবায়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর সহ সকল দপ্তরের প্রতি তাঁর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদকে নান্দনিক করে গড়ে তুলেছেন। উপজেলার প্রাচীর ও ভবন সমূহ সংস্কার করেছেন। শোভা বর্ধনে উপজেলা পরিষদে ফুলের বাগান নির্মাণ করেছেন। রং-বেরংগের বাতি লাগিয়েছেন। পেষ্টার-লিফ্লেট লাগানোর জন্য উপজেলা পরিষদ সম্মুখে আলাদা ওয়াল তৈরী করেছেন। জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি নান্দনিক শহীদ মিনার তৈরী হয়েছে। আগামীতে কেশবপুর থেকে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নদ-নদী খননের ব্যাপারে তিনি সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। তিনি কেশবপুরে যোগদানের পর থেকে সকল জাতীয় দিবস বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার সাথে পালিত হচ্ছে। গত ১৬ ডিসেন্বর বিজয় দিবসের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেন। তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমানের নেতৃত্বে সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা জনসাধারণের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করে চলেছেন।
এদিকে তিন থেকে চারজন মুক্তিযোদ্ধা কেশবপুরের সকল সেক্টরে উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে গত ২১ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানূর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া কথা সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর বদলীর দাবী জানান। পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া কথা সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।