রবিবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছার শিক্ষা কর্মকর্তার স্বামীকে মারপিটের ঘটনায় আ’লীগনেতার বিরুদ্ধে মামলা
পাইকগাছার শিক্ষা কর্মকর্তার স্বামীকে মারপিটের ঘটনায় আ’লীগনেতার বিরুদ্ধে মামলা
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার স্বামীকে মারপিটের ঘটনায় আ’লীগনেতাকে আসামী করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। রোববার শিক্ষা কর্মকর্তা শোভা রায়ের স্বামী বাবলু কুমার ঘোষ (৫১) বাদী হয়ে আ’লীগনেতা প্রভাষক ময়নুল ইসলাম (৪৪) ও তার ভাই প্রভাষক আব্দুল ওহাব বাবলু (৩৮) কে আসামী করে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি আমলে নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আ’লীগনেতা ময়নুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পৌর সদরের ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক। অপরদিকে আব্দুল ওহাব বাবলু কয়রার জায়গীরমহল খান সাহেব কোমর উদ্দীন কলেজের প্রভাষক।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনাকে কেন্দ্র করে ময়নুল ইসলাম সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়কে প্রতিপক্ষ মনে করে দীর্ঘদিন তার সাথে বৈরী আচারণ করে আসছিল। এরই জের ধরে ঘটনার দিন গত ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে শোভা রায়ের স্বামী বাবলু কুমার ঘোষ বাজার থেকে বাসায় আসার সময় উপজেলা পরিষদ এলাকার নির্বাচন অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে ময়নুল ইসলাম ও তার ভাই আব্দুল ওহাব বাবলু ঘোষকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিট করে। এতে বাবলু ঘোষের চোখের নিচে, নাক ও হাতের একটি আঙ্গুল ফোলা জখম হয়। পরে এ খবর জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদেরকে উদ্ধার করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরের দিন আহত বাবলু প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবশেষে এ ঘটনায় রোববার বাবলু ঘোষ বাদী হয়ে ময়নুল ও আব্দুল ওহাবের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেছে। এ ব্যাপারে প্রভাষক ময়নুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন গালি গালাজকে কেন্দ্র করে বাবলু ঘোষ ও আমার মধ্যে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে অকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটে যায়। যা ওই দিন ইউএনও স্যার নিজ কার্যালয়ে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি উভয়ের মধ্যে মিমাংসা করে দেন। এরপরও আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের সাথে বিষয়টি একাধিকবার নিরসন করার চেষ্টা করি। এতো কিছুরপর কেউ যদি মামলা করে তা হলে বুঝতে হবে তারা সামাজিকতায় বিশ্বাসী নয়। যা অহেতুক হয়রানি ও সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মামলাটি করেছে।