শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ১২ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » নড়াইলে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় হাজারো মানুষের মিলন মেলা
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » নড়াইলে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় হাজারো মানুষের মিলন মেলা
৭৩৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১২ এপ্রিল ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নড়াইলে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় হাজারো মানুষের মিলন মেলা

---
ফরহাদ খান, নড়াইল ।
নড়াইলে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা নববর্ষ ও একুশে টেলিভিশনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে নড়াইল সদরের মাইজপাড়া শিশুতীর্থ চারুকলা শিক্ষাকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে ১৭০ জন শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। গ্রামীণ পরিবেশ, পাখি, ফুল-ফল, নদী, একুশে টিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিষয় শিশুদের রঙতুলিতে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠে। ক্যানভাসে পাখির ছবি এঁকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ জিল্লুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার সরকার, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানে শিষ্য বলদেব অধিকারী, একুশে টিভির নড়াইল প্রতিনিধি ফরহাদ খান, মনিকা একাডেমির পরিচালক চিত্রশিল্পী এম সবুজ সুলতান, নাছরিন আক্তার পুষ্প, শারমিন সুলতানা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নড়াইল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ।
এ উপলক্ষ্যে মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শর্মি রায় বলে, একুশে টিভির জন্মদিনে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে খুব খুশি হয়েছি। নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী পূজা সাহা বলে, চিত্রাঙ্কনের মধ্য দিয়ে একুশে টিভির জন্মদিনের আয়োজন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। দি কম্পিউটার চাইল্ড স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধী মমি জানায়, সে মাছ, হাঁস, ফুল-ফল, পাখি, নৌকাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে তুলে ধরেছে। মেহেদী হাসান ও চৈতি সিকদার জানায়, বাংলা  নববর্ষের আগমন এবং একুশে টিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অনেক লোকজন এসেছেন। গান, নাচসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান খুব ভালো লেগেছে। মনিকা একাডেমির পরিচালক চিত্রশিল্পী এম সবুজ সুলতান বলেন, বাংলা নববর্ষের আগমনে এবং একুশে টিভির জন্মদিনের ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠান সবাইকে মুগ্ধ করেছে। একুশে টিভির নড়াইল প্রতিনিধি ফরহাদ খান বলেন, অনেক বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে একুশে টিভি দর্শক হৃদয় জয় করে আছে। জনদুর্ভোগ, একুশের চোখ, একুশে রাত, পর্যটন, কৃষিপণ্য, সমস্যা, সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে ইটিভি। এছাড়া নাটক, সিনেমাসহ বিভিন্ন ধরণের বিনোদন প্রচার করছে আমাদের চ্যানেলটি।

---চিত্রশিল্পী বলদেব অধিকারী বলেন, চিত্রাঙ্কনসহ গ্রামীণ খেলাধূলার আয়োজন খুব ভালো লেগেছে। এ যেন শিশু-কিশোরদের মিলন মেলা। অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোর, অভিভাবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের আগমনে মুখরিত ইটিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠান। মাইজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার সরকার বলেন, পহেলা বৈশাখে একুশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিনটি বাঙালির জন্য আনন্দ-উৎসবের। পাশাপাশি সাংবাদিক সমাজের জন্যও আনন্দের দিন। মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, নড়াইল শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে মাইজপাড়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। শিশু-কিশোরদের মিলন মেলায় আজকের বিকেলটি আনন্দ-উৎসবে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিক সব সময় সত্য ও সুন্দর কথা তুলে ধরবেন, বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি নড়াইল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে থেকে তারা কাজ করেন। তবে দুর্নীতি, অনিময় ও সত্যকথা তুলে ধরতে গিয়ে অনেক সময় বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। একুশে টিভি অনেক বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে শুরু থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও সুষ্ঠু বিনোদন প্রচার করে যাচ্ছে। প্রধান অতিথি নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, এসব অনুষ্ঠান সাধারণত শহর কেন্দ্রীক হয়ে থাকে। কিন্তু শহর থেকে অনেক দুরে এই অনুষ্ঠান করায় একুশে টিভির নড়াইল প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। গণমানুষের মাঝে এ ধরণের অনুষ্ঠান আমি প্রথম দেখলাম। গ্রামের শেকড়ের সন্ধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন অসাধারণ। চিত্রাঙ্কনের মধ্য দিয়ে শিশুরা মাদক ও ইভটিজিং থেকে দুরে থাকবে; সমাজকে ভালো কিছু উপহার দিবে।
দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে রয়েছে-মেয়েদের বালিশ বদল খেলা, চেয়ারসিটিং, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষের আগমন ও একুশে টেলিভিশনের ১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)