রবিবার ● ১৫ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন
ডুমুরিয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ডুমুরিয়া ও খর্ণিয়াসহ ১৪ টি ইউনিয়নে ধানের ব্লাষ্ট রোগের উপর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে বোরো ধানের ব্লাষ্ট রোগের জন্য ট্রাইসাইক্লোজাল গ্রুপের ছত্রাক নাশক ব্যবহার করার জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দেন। কৃষকরা কথা ও কাজের সাথে মিল রেখে বোরো আবাদ করায় ডুমুরিয়া উপজেলা সহ খর্ণিয়া ইউনিয়নে চলতি রোপা বোরো আবাদ মৌসুমে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি-ধান ২৮ ধানের সর্বত্র বাম্পার ফলন হবে বলে আসা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের জন্য গত অর্থ বছরের তুলনায় এ বছর অধিক জমিতে রোপা বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ অবস্থা থাকলে আগামী অর্থ বছরের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে ব্রি-ধান ২৮ আবাদ হবে বলে কৃষিবীদরা মনে করেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া ইউনিয়নের ৩’টি ব্লকে ৫০০ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ২৮ ধান চাষ করা হয়েছে। গড় হিসাবে ২০১৭ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৮ অর্থ বছরে ৫০ হেক্টর অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। স্থানীয় কৃষক খর্ণিয়ার বক্কর আলী, মুদার গাজী, রাসেল শেখ, পাঁচপোতার বজলু রহমান, টিপনা আব্দুল আজিজ শেখ, নতুন রাস্তার মুফাজ্জেল শেখ, পাচুড়িয়া হোসেন সরদার, বরাতিয়া মনা পুদ্দার, চুকনগর সালাম গাজী, আংগারদহা আশুতোষ অধিকারী ও আহাদ গাজী বলেন চলতি মৌসুমে ব্রি-ধান ২৮ ধানের বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি। ব্রি-ধান ৬৭-৫৮ কাটা শুরু হয়েছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাটা শেষ হয়ে যাবে। কৃষকরা এ প্রতিনিধিকে আরো বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস সময়মত আমাদের সকল কৃষকদের নানা প্রকার প্রশিক্ষণ ও জমিতে যেয়ে তদারকির কারণে এবার আমরা আগের তুলনায় বাম্পার ফলন পাবো আশা করছি। ডুমুরিয়া উপজেলার উপ- সহকারী কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম ও ফতেমা বেগম এর সাথে আলাপ কারা হলে তারা বলেন, আমাদের এই উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা আগের তুলনায় অনেক সচেতন। তারা তাদের জমিতে রোপনকৃত কোন ফসলের কোন একটু সমস্য দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে ছুটে আসে। আর আসার পর আমরা তাদেরকে নানা প্রকার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এছাড়া কৃষকদের সসমস্য সমূহ চিহ্নিত করার জন্য জমিতে যেয়ে সমস্য সমাধান করার চেষ্টা করি। শুধু তাই নয় কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়ে থাকে। যে কারণে তারা উৎসাহী হয়ে অনেক পতিত জমিতে বোরো মৌসুমে ব্রি-ধান ২৮ ধানের আবাদ করেছেন।