রবিবার ● ১৫ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছার আলোচিত গাংরখী নদীর নেটপাটা অপসারণ করলেন এমপি নূরুল হক; অবমুক্ত ঘোষণা করায় এলাকাবাসীর অভিনন্দন
পাইকগাছার আলোচিত গাংরখী নদীর নেটপাটা অপসারণ করলেন এমপি নূরুল হক; অবমুক্ত ঘোষণা করায় এলাকাবাসীর অভিনন্দন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার বহুল আলোচিত গাংরখী ও শালুকখালী বদ্ধ নদীর নেটপাটা অপসারণ করে জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। রোববার সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক নদীতে নেমে নৌকায় চড়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের নদীর সকল নেটপাটা নিজের নেতৃত্বে অপসারণ করেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সংসদ সদস্যকে অপসারণ কাজে সহযোগিতা করেন। অপসারণ অভিযান পরিচালনা কালে নদীর দুই পাড়ের শত শত এলাকাবাসী সংসদ সদস্যকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন ও কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের গাংরখী ও শালুকখালী নদী এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে বছরেরপর বছর ধরে অবৈধ ভাবে নেটপাটা ব্যবহার করার মাধ্যমে মাছ চাষ করে আসছিল। নেটপাটা ব্যবহার করার ফলে নদীর দুই পাশের দুই ইউনিয়নের বিঘিœত হয় পানি সরবরাহ। এতে এলাকার হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। শত শত মৎস্যজীবী পরিবারের জীবিকার উপর পড়ে বিরূপ প্রভাব। পানি সরবরাহের ব্যাপারে এলাকাবাসী কিছু বলতেই গেলেই ইজারাদার তাদের উপর চরম নির্যাতন করে আসছিল। ইজারাদারের হাত থেকে নদী অবমুক্ত করার দাবীতে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনও করে। কিন্তু ইজারাদার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন আন্দোলন কাজে আসেনি। অবশেষে এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হককে বিষয়টি অবহিত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। সংসদ সদস্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উল্লেখিত নদীটি অবমুক্ত করার ব্যাপারে এলাকাবাসীকে প্রতিশ্র“তি দেন। প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী প্রথমে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপ-আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। গত ৩০ চৈত্র ইজারার মেয়াদ শেষ হয় এবং নতুন করে নদীটি ইজারা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। রোববার সকালে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক নিজেই গাংরখী স্লুইচ গেট হতে নৌকায় চড়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীর সকল অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করে এলাকাবাসীর পানি সরবরাহের জন্য গাংরখী ও শালুকখালী নদী অবমুক্ত ঘোষণা করেন। নদী অবমুক্ত হওয়ায় পরে বিকালে দক্ষিণ কুমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসী আনন্দ র্যালি, সমাবেশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গড়ইখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অর্দ্ধেন্দু শেখর মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এমপি নূরুল হককে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। নেটপাটা অপসারণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস, মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, আওয়ামীলীগনেতা এসএম আয়ুব আলী, আক্তার হোসেন গাইন, বিএম শফি, জেলা যুবলীগ নেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, ইউপি সদস্য বিপুল কান্তি মন্ডল, আব্দুস সালাম কেরু, শহিদুল ইসলাম, অচিন্ত কুমার সরদার, দূর্গাদাশ মন্ডল, কাজল রানী বর্মন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্বাস আলী মোল্লা, আব্দুল মাজেদ, ডাঃ সুব্রত কুমার মৈত্র, আব্দুস সাত্তার মুন্তু, গাউছার রহমান, পূর্ণেন্দু শেখর মন্ডল, দীলিপ কুমার দাশ, শিবপদ মন্ডল, মানস কুমার মন্ডল, জিএম মফিজুল ইসলাম, রণজিৎ কুমার মন্ডল, স্বপন কুমার সরকার, আছাদুল ইসলাম, সনাতন বৈদ্য, আব্বাস আলী মোড়ল, উৎপল কুমার মন্ডল, কৃষ্ণ দাশ, যুবলীগনেতা শেখ মাসুদুর রহমান, শেখ সরোওয়ার্দ্দী, জাহিদুল আলম, আসিফ ইকবাল রনি, সঞ্জয় ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম মশিয়ার রহমান ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনোজ মন্ডল।