শনিবার ● ২৮ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » কাঠ চেরাইয়ের সুবিধার্থে ইট-ভাটায় স-মিল স্থাপন
কাঠ চেরাইয়ের সুবিধার্থে ইট-ভাটায় স-মিল স্থাপন
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পাইকগাছার এনএসবি ব্রিক্স এ কাঠপুড়িয়ে ইট তৈরী করা হচ্ছে। আর প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে ইট-ভাটায় স-মিল স্থাপন করা হয়েছে। শুধুমাত্র ভাটার জ্বালানী কাট চেরাই করার জন্য। বছরে লক্ষ লক্ষ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে ভাটার কালো ধোয়াই এলাকার পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে, আর কাঠ পোড়ানোয় বন উজাড় হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে। তবে ইট-ভাটার মালিক শাহিনুর রহমান কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দাপটের সাথে ভাটার অবৈধ স-মিলে কাঠ চেরাই ও কাঠ পুড়িয়ে চলেছে।
জানাগেছে, পাইকগাছা উপজেলার পুরাইকাটীতে এনএসবি ব্রিক্স অবস্থিত। এর মালিক গোপালপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান। ভাটার পশ্চিম পাশ দিয়ে কপোতাক্ষ নদ প্রবাহিত ও উত্তর পাশে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামার অবস্থিত। কপোতাক্ষ নদের পলি ভরাটি জায়গা থেকে মাটি কেটে ভাটায় নেয়া হচ্ছে। আর সারা বছর ভাটার ইট তৈরীর জন্য জ্বালানী হিসাবে পুড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর জ্বালানী তৈরীর সুবিধার্থে ভাটা স্থাপন করা হয়েছে স-মিল। সড়ক পথে ট্রাক যোগে ও নদী পথে কার্গো করে ভাটায় জ্বালানী কাঠ আনা হচ্ছে। আর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ স-মিলে কাঠ চেরাই ও পোড়ানো হচ্ছে। কোন বাঁধা ছাড়াই মহা ধুম ধামের সাথে স-মিলে কাঠ চেরাই করে জ্বালানী হিসাবে ইট ভাটায় পুড়ছে। এ ব্যাপারে এনএসবি ব্রিকস এর মালিক শাহিনুর রহমান বলেন, কাঠ চেরাইয়ের সুবিধার্থে ভাটায় স-মিল বসিয়েছে। তার কোন অনুমতি বা লাইসেন্স নেই। আর কাঠ পোড়ানোর বিষয় বলেন, ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এতে কেউ কোন বাঁধা দেয়নি, আর কাঠ পোড়ানোতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। প্রতিবছর এই ভাটায় লক্ষ লক্ষ টন কাঠ পোড়ানোর ফলে কালো ধোয়া আর কার্বডাই অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এলাকার ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে, আর পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবেশবাদীরা ও এলাকার সচেতন মহল ইট-ভাটার অবৈধ স-মিল অপসারণ ও ভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।