বৃহস্পতিবার ● ৩ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » পাইকগাছায় হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত এমপি নূরুল হক; শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মাননা প্রদান
পাইকগাছায় হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত এমপি নূরুল হক; শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সম্মাননা প্রদান
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় হাজার হাজার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। বৃহস্পতিবার বিকালে পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এলাকাবাসী আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও জনসভায় এলাকার মানুষ এমপি নুরুল হককে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে আধুনিক পাইকগাছা-কয়রা গড়ার রূপকার হিসাবে শতাধিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকে এমপিকে প্রদান করা হয় সম্মাননা ক্রেস্ট। বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পৌরসভা চত্বর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল আকারে লোকজন সমবেত হয় পৌরসভা মাঠে। বিকাল ৪টার পরে ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে পৌরসভার মাঠ। এক পর্যায়ে লোকজন মাঠের পাশের দলিল লেখক সমিতি ভবন ও মাঠের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার লোকের সমাগম ঘটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানে বক্তারা এমপি নূরুল হককে নির্দিষ্ট করে বলেন, এলাকার উন্নয়নে যার অবদান রয়েছে, যিনি এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে রয়েছেন, দলের জন্য (কার্যালয়) স্থায়ী ঠিকানা করে দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে তাকেই আমরা দলীয় প্রার্থী হিসাবে দেখতে চাই। বক্তারা পাইকগাছা কয়রার নৌকা বহিরাগত কাউকে ভাড়া দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আরো বলেন, আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে বর্তমান এমপিকে পুনরায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী করবেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ও প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি নূরুল হক আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করছি। দল থেকে এ পর্যন্ত আমাকে ৪ বার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এলাকায় অভূতপূর্র্ব উন্নয়ন করি। এলাকার দৃশ্যমান উন্নয়ন যার রয়েছে তার বেশিরভাগই প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় আমি করেছি। ওই সময় এলাকার লোকজন আমাকে আধুনিক পাইকগাছা-কয়রা গড়ার রূপকার উপাধী দেয়। যা আর কারও নাই। ২০১৪ সালে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে গত কয়েক বছরে এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। আজকের এলাকাবাসী যার স্বীকৃতি দিলো। ইতোমধ্যে আমি আমার প্রিয় সহধর্মীনি, পুত্র ও কণ্যা সন্তানকে হারিয়ে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়ে ছিলাম। তবুও প্রিয়জনদের শোক আমাকে এলাকার উন্নয়ন থেকে সরাতে পারেনি। এলাকাবাসীর ভালবাসা পেয়ে সকল শোক আজ শক্তিতে পরিণত হলো। এর প্রতিদান কোন দিন শোধ হবার নয় উল্লেখ করে এমপি নূরুল হক বলেন, এভাবেই আগামীতেও এলাকা ও মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্বাচন পরিচালনা (কেন্দ্র) কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও জনসভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান গাজী, নাহার আক্তার, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ বাহার, গোপাল চন্দ্র ঘোষ, হরেকৃষ্ণ দাশ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস, আব্দুল মজিদ গোলদার, রুহুল আমিন বিশ্বাস, রিপন কুমার মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী, এসএমএ মাজেদ, আওয়ামীলীগনেতা রতন কুমার ভদ্র, বিজন বিহারী সরকার, সরদার গোলাম মোস্তফা, নির্মল মজুমদার, হেদায়েত আলী টুকু, যুগোল কিশোর দে, আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ পংকজ কুমার ধর, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, আব্দুল গফফার, রহিমা আক্তার শম্পা, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এ্যাডঃ শিবু প্রসাদ সরকার, জেলা যুবলীগনেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, প্রভাষক ময়নুল ইসলাম, এ্যাডঃ শেখ আব্দুর রশিদ, যুবলীগনেতা শেখ মাসুদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক রাজু, প্রণব কান্তি মন্ডল, দেবব্রত রায়, আজিবর রহমান, জগদীশ চন্দ্র রায়, আসিফ ইকবাল রনি, সঞ্জয় ঘোষ, ছাত্রলীগনেতা এসএম মশিয়ার রহমান, মেহেদী হাসান, তানজিম মোস্তাফিজ বাচ্চু, আল-আমিন হোসেন, মাসুদ পারভেজ রাজু ও রায়হান পারভেজ রনি।