রবিবার ● ২০ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » পুলিশের সহযোগিতায় যাযাবর জীবনের অবসান হলো শতাধিক পরিবারের নড়াইলে বাড়িছাড়া শতাধিক পরিবার মাথাগোঁজার নিশ্চয়তা পেল
পুলিশের সহযোগিতায় যাযাবর জীবনের অবসান হলো শতাধিক পরিবারের নড়াইলে বাড়িছাড়া শতাধিক পরিবার মাথাগোঁজার নিশ্চয়তা পেল
ফরহাদ খান, নড়াইল।
প্রায় একমাস ধরে বাড়িছাড়া ওরা। ঠাঁই নেই নিজেদের ঘরেও। এ অবস্থায় যাযাবর জীবনযাপন করে আসছিলেন শতাধিক পরিবার। এদের মধ্যে রয়েছে নারী-পুরুষসহ শিশু-কিশোররা। পুলিশের সহযোগিতায় শুক্রবার (১৮ মে) বিকেলে সেই যাযাবর জীবনের অবসান হলো তাদের। নিজেদের ঘরে মাথা গোঁজার নিশ্চিয়তা পেলেন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা। এটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পারমল্লিকপুর গ্রামের বর্ণনা। একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলা, মামলা ও লুটপাটের ভয়ে বাড়িছাড়া ছিলেন অপরপক্ষের লোকজন। নড়াইলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের উপস্থিতিতে ভূক্তভোগীদের বাড়িতে তুলে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পারমল্লিকপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুর ও মৃধা গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২১ এপ্রিল ওই গ্রামের নলকূপমিস্ত্রি খায়ের মৃধাকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা এবং এক শিশু, দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে। খায়ের বংশীয় ভাবে মৃধা হলেও ঠাকুর গ্রুপের লোক ছিলেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মৃধা পক্ষের ৫১ জনের নামে মামলা হয়। এরপর থেকে প্রায় এক মাস বাড়িছাড়া আসামিপক্ষের লোকজন। ইতোমধ্যে নারী ও শিশুরা বাড়িতে উঠলেও পুরুষেরা প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শুক্রবার বাদীপক্ষের পাঁচজনকে আটক করে। এরা হলেন-পারমল্লিকপুর গ্রামের দুলাল ঠাকুর, আনিস ঠাকুর, অকি শেখ, আল আমিন ঠাকুর ও সাইফুল মৃধা। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, পারমল্লিকপুর গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভূক্তভোগীদের আমরা নিজ বাড়িতে তুলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে এসপি স্যারের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে পারমল্লিকপুর ফুটবল খেলার মাঠে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, নড়াইলের প্রতিটি ইউনিয়ন, পাড়া-মহল্লায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা কবলিত গ্রাম পারমল্লিকপুরেও শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।