রবিবার ● ২০ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » পরিবেশ » নিয়ন্ত্রনহীন খুলনার খুচরা ফলের বাজার।।ক্রেতারা এক অর্থে জিম্মিই
নিয়ন্ত্রনহীন খুলনার খুচরা ফলের বাজার।।ক্রেতারা এক অর্থে জিম্মিই
এস ডব্লিউ নিউজ।
পবিত্র মাহে রমজানের আজ তৃতীয় দিন।খুলনার শহুরে নাগরিক জীবনে রমজানে ভাজা পোড়া কেনার প্রবনতা আবহমান কাল হতে । তবে আধুনিক জীবন মানে সময়ের সাথে সাথে রমজানের ইফতার পর্বে ফল ফলাদির সংযুক্তি বেড়েছে ।আর ইফতার তালিকায় ফল ফলাদি সকল ক্রেতা সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যদিও থাকে না ।তথাপি রমজান এলেই সকলেই একটু চেষ্টায় রাখেন ইফতারে কিছু ফল রাখতে ।
সরেজমিন ফলের কয়েকটি খুচরা দোকানে ঘুরে দ্যাখা যাচ্ছে ,রমযানকে উপলক্ষ করে দামের তারতম্য তিন- চার দিনের ব্যাবধানেই পরিবর্তিত হয়েছে ।তবে সকল দোকানের দাম একই রকম নয়।
দ্যাখা যায় , আঙ্গুরের দাম কেজি প্রতি ৩৬০ টাকা । একজন সাধারন ক্রেতা নগরীর পিটি আই মোড়ের রহমত স্টোরের পাশের ফল বিক্রেতার কাছে ২৫০ গ্রাম আঙ্গুরের দাম জানতে চাইলে বলেন , ৯০ টাকা ।অথচ বিগত চার দিন আগেই ঐ ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে জেনেছিলেন ২৫০ গ্রামের দাম ৬০ টাকা ।আবার একই মানের আংগুর ডাকবাংলা এলাকার ফল দোকানিদের কাছে ৭৫-৮০ টাকা ,কিংবা ১০০ টাকা দরে ক্রেতা বুঝে দেদারছে বিক্রির খবর নতুন নয় ।
তদ্রুপ মাল্টা ,আপেল ,কলা ,কমলার বছরব্যাপী সহজ প্রাপ্য ফলের দামের সামঞ্জস্যতার কারন খোঁজার চেষ্টা করা হয় ।
তাতে প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায় , নিদিষ্ট এ সব খুচরা ফল বিক্রেতারা দামের বিভিন্নতা নিয়ে নানা অভিযোগ দাড় করছে।কেউ বলছেন ,আড়ৎদারেরা রমজান উপলক্ষে ফলের দাম বাড়িয়েছে ।কেউ বলছেন ,সিণ্ডিকেট আছে ।সেটা পাইকারি ব্যাবসায়িরাই নিয়ন্ত্রন করেন ।আবার কোণ কোণ খুচরা ফল বিক্রতা বলছেন, ফল আমদানি কারকদের রেট বাড়লে পাইকারি -খুচরা সব জায়গায়ই দাম বেড়ে যায় ।
আর এ বিষয়ে কয়েকজন সাধারন ক্রেতা জনের সাথে দামের তারতম্য সম্পর্কে তাদের অভিমত জানতে চাইলে, তারা বলছেন – দাম বৃদ্ধির নানা কিসিমের এসব অজুহাত পুরানো । তবে সরকারী পর্যায় হতে মনিটরিং সেল যদি শক্ত ভাবে যতবেশি কার্যকর হবে না ,ততই এই লাগামছাড়া দামের অপততপরতা থাকবে ।
একজন ক্রেতা বললেন , শুধু ফল ফলাদি বলে কথা নয় -সব জিনিশপত্রেরই দাম বৃদ্ধির প্রবণতা রমজানে লক্ষণীয় ।যা পুরানো সংস্কৃতি ।
এক অর্থে সাধারন ক্রেতা শ্রেণী দাম বৃদ্ধির কারসাজীর কাছে অনেকটা জিম্মি হয়েই থাকেন ।।