বুধবার ● ১ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » দাকোপে জেলে নাসির হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ মানববন্ধন
দাকোপে জেলে নাসির হত্যার আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ মানববন্ধন
আজগর হোসেন ছাব্বির,দাকোপ।
দাকোপে মৎস্য জেলে নাসির হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা পুলিশ নিষ্কৃয়তাকে দায়ী করে এক সপ্তাহের মধ্যে আসামী গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারন করেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দাকোপ উপজেলা সদর ডাকবাংলার মোড়ে শত শত নারী পুরুষের অংশ গ্রহনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এজাহার নামীয় আসামী তাপস জোয়াদ্দার ও বিধান রায়ের প্রতিকী ফাঁসীর ব্যানার প্লাকার্ডসহ সমাবেশে বক্তারা বলেন, একজন শান্তি প্রিয় জেলে জীবিকার তাগিদে মাছ শিকারে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হয়েছে। নিহত নাসিরের পিতা সকল আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। ঘটনার ২১ দিন অতিবিাহিত হওয়ার পরেও একজন আসামী গ্রেফতার হয়নি বা পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। সমাবেশের এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রধান সড়ক অবরোধ করে রাখেন। কামারখোলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শিকদার মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সুভদ্রা সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল, ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার সানা, সাংবাদিক আজগর হোসেন ছাব্বির, ইউপি সদস্য ননী গোপাল মাঝি, নিহত নাসিরের পিতা আঃ রাজ্জাক সানা, জাহাঙ্গির হোসেন, আঃ বারিক সরদার, নুর হোসেন সানা, ফেরদাউস সানা প্রমুখ। সমাবেশে নাসিরের ৩ কন্যা ও বিধুবা স্ত্রীসহ কামারখোলা ইউনিয়নের শত শত নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করেন। উল্লেখ্য গত ১০ জুলাই রাতে দাকোপের কামারখোলা ইউনিয়নের জয়নাগর ঠাকুরুনবাড়ী খাস খালে নির্মমভাবে খুন হয় জয়নাগর গ্রামের নাসির। ওই খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে খালের ইজারাদার লতিফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ৩ দিনের মাথায় এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয় বলে জানা যায়। নিহত নাসির ইজারদারদের অব্যহত হুমকি ধামকির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধীকবার অভিযোগের মাধ্যমে জানায়। এ ঘটনায় নাসিরের পিতা রাজ্জাক সানা বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের একটি সুত্র জানায় হত্যার রাতে খুনিরা চালনা টি এফ সি রেষ্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। এ ছাড়া অন্যান্য বেশ কিছু আলামত এখন প্রশাসনের হাতে। তবে আসামীর তালিকায় কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্মির নাম থাকায় পুলিশ নীরব এমন আশংকা এলাকাবাসীর।