মঙ্গলবার ● ২০ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » নারী ও শিশু » “জীবনের নতুন ঘাটে”
“জীবনের নতুন ঘাটে”
মোঃ বাহারুল ইসলাম, তালা উপজেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ দূর্যোগ প্রবণ দেশ। এ দেশে প্রতি বছর কোন না কোন দূর্যোগ আঘাত হানে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে। ২০০০ সাল থেকে এ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা শুরু হয়। বিশেষ করে বেতনা ও কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা হারানো ফলে অতি বৃষ্টির পানি সরবরাহ করতে না পারায় প্রতি বছর অত্র এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার রুপ নেয়। বিশেষ করে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া, তালা, জালালপুর, কুমিরা ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন। অত্র এলাকায় জলাবদ্ধতা শুরু হওয়ার ফলে এলাকার মানুষের আয়ের উৎস্য অনেকাংশে কমে গেছে। যার ফলে অত্র এলাকায় দারিদ্রতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। নুন আনতে পানতা পরায় অধিকাংশ পরিবার।
কনসার্ন ইউনিভার্সাল-বাংলাদেশ এর সহায়তায় প্রতীক ট্রাষ্ট নামক স্থানীয় এনজিওর মাধ্যমে ২০১৪ সালে এপ্রিল মাসে “জলাবদ্ধ এলাকায় বিপদাপন্ন ও অতি দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা প্রকল্পের” কার্যক্রম শুরু করে। প্রকল্পের আওতায় সালমা বেগম, স্বামী রেজয়ান সরদার, ধলবাড়ীয়া, তালা, সাতক্ষীরা উপকারভোগী নির্বাচিত হয়। জলাবদ্ধতা শুরুর আগে সালমা বেগমের সাংসার ভালভাবে চলত কিন্তু জলাবদ্ধতা শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকায় তেমন কাজ না থাকায় অনাহারে-অধাহারে সালমা বেগমের সংসার চলে আসছিল। প্রকল্পের আওতায় ৪৫ দিন কাজ করে প্রতিদিন ২০০/- টাকা করে মোট ৯,০০০/- টাকা এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনার জন্য আরো ৯,০০০/- টাকা সর্বমোট- ১৮,০০০/- টাকা পায় সালমা বেগম। সংসার খরচ যোগানোর পাশাপাশি তহবিল মজুদ করে ঐ বছর উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে গরুমোটাতাজাকরণ প্রশিক্ষণ নিয়ে সেপ্টম্বর মাসে ১৩,০০০/- টাকা দিয়ে ১ গরু ক্রয় করেন। গরুটি ২০১৫ সালে মে মাসে বিক্রয় করেন ২৮,০০০/- টাকা এবং। পরবর্তীতে ২১,৫০০/- টাকা তিনি আরো একটি গরু ক্রয় করেন যার বর্তমান মূল্য ৩১,০০০/- টাকা। সালমা বেগম লাভের টাকা দিয়ে সংসার খরচ পরিচালনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। সালমা বেগম বলেন, আমি এখন খুব আনন্দিত, এই কাজের সুযোগ না পেলে তার পরিবারের সদস্যদের খুব কষ্টে দিন যাপন করতো।