মঙ্গলবার ● ১৬ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » ইতিহাস ও ঐতিহ্য » গরীর শাহ দেওয়ান ছিলেন মাগুরার কিংবদন্তী
গরীর শাহ দেওয়ান ছিলেন মাগুরার কিংবদন্তী
মাগুরা প্রতিনিধি: গরীর শাহ দেওয়ানকে বলা হয় মাগুরার কিংবদন্তী । মাগুরার মানুষের কাছে তার অলৌকিক ক্ষমতার কথা প্রচলিত আছে ।
কথিত আছে, একবার বৃটিশ সরকারের নীল কুঠি ইনচার্য টমাস টুইডি মাগুরার হাজরাপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হানু নদীর তীরে গরীব শাহ‘র দেখা পেয়ে ছিলেন । এ সময় তিনি তাকে ভিক্ষুক ভেবে একটি মুদ্রা দেন । গরীব শাহ মুদ্রাটি হাতে নিয়ে হানু নদীতে ফেলে দেন । এতে রাগান্বিত হয়ে টমাস টুইডি গরীব শাহের কাছে মুদ্রাটি ফেরত চান । তখন গরীব শাহ দেওয়ান ওই কর্মকর্তাতে হাত পাততে বলেন । দেখা যায়,কিছু সময় পর অসংখ্য মুদ্রায় তার হাত ভরে যায় । টমাস টুইডি তখন তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান এবং তার শিষ্যত্ব গ্রহন করেন ।
ইতিহাস খ্যাত এ সাধকের বাড়ি মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার নহাটা গ্রামে । এই গ্রামেরই সাধক শাহ দেওয়ান ছিলেন হযরত খানজাহান আলীর শিষ্য । সেই সূত্রে ধারনা করা হয়, পঞ্চদশ শতাদ্বীর প্রথম ভাগেই তার জন্ম । যশোরসহ সাত জেলায় তার সাতটি মাজার রয়েছে ।
গত সোমবার বাংলা ৩০শে আশ্বিন তার মহাপ্রয়াণ দিবসে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ভক্তরা মিলিতে হয়েছিলেন বাৎসরিক ওরশে তার মাজারে । অনেকেই নানা মনোবাসনা পূরণ ও বিপদ থেকে মুক্তির জন্য তার মাজারে দোয়া ও মানত করতে আসেন ।
শ্রীপুর উপজেলা থেকে আসা ষার্টধো নারী সালমা জানান, আমি ৪ বছর ধরে এ মাজারে আসি । মানত করি । অনেক বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পায় । বিশ্বাস আর ভক্তি আছে বলেই আমি এখানে আসি ।
স্থানীয় নারী হাসিনা বেগম জানান, এ এলাকায় মাহবুবে এলাহি হযরত গরীব শাহ দেওয়ান ছিলেন মানুষের প্রাণ । তিনি নানা গুনে গুনান্বিত ও অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন । তার প্রতি মানষের ভালোবাসা প্রবল থাকার কারণেই প্রতি বছর এখানে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটে।
বর্তমান খাদেম মো: আতিয়ার রহমান জানান, প্রতি বাংলা মাসের ৩০ আশ্বিন এখানে ওরশ হয় । যেখানে প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ সমাগম ঘটে থাকে । আমরা মাজারের পবিত্রতা রক্ষার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতি বছর ওরশে লোক সমাগম বাড়ছে । আগামীতে আরো বাড়বে । আমরা মানুষের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই ।