মঙ্গলবার ● ২৩ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরায় জিংক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়ছে
মাগুরায় জিংক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়ছে
মাগুরা প্রতিনিধি ॥ মানব দেহের জন্যে জনপ্রতি প্রতিদিন যে পরিমান জিংকের প্রয়োজন। তার ৭০ ভাগ পুরণ হয়ে যায় যদি প্রত্যেকে প্রতিদিন জিংক সমৃদ্ধ চালের ভাত খায়। কারণ এখন বাংলাদেশে আবাদ হওয়া নানা জাতের জিংক ধানের প্রতিকেজি চালে ২৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত জিংক থাকে। এছাড়া রয়েছে প্রয়োজনীয় প্রটিন। যা মানব দেহের সিংহভাগ জিংক ও প্রটিনের চাহিদা পুরনে স্বক্ষম। এছাড়া এই ধান অন্যান্য জাতের তুলনায় অধিক ফলন দিতে স্বক্ষম। এই ফলন ও স্বাস্থ্যাগত সুবিধার কারনে দেশে জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ বছর সারা দেশের অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে জিংক সমৃদ্ধ নানা জাতের ধান। যার মধ্যে রয়েছে ব্রি-৬২, ব্রি-৬৪, ব্রি-৭২, ব্রি-৭৪।
মাগুরা সদর উপজেলায় মঙ্গলবার আঙ্গারদহ গ্রামে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ ধানের গুণাগুণ নিয়ে অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবসে এ তথ্য দিয়েছে কৃষি বিশেষজ্ঞরা। বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা হারভেস্ট প্লাস ও সোসিও ইকোনোমিক হেলথ এডুকেশন অর্গানাইজেশন-সিও যৌথভাবে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে হারভেষ্ট প্লাসের আঞ্চলিক পারিচালক কৃষিবিদ মুজিবর রহমান জানান, জিংক সমৃদ্ধ ধান বিশেষ করে ব্রি-৭৪ হেক্টর প্রতি ৭ থেকে প্রায় সাড়ে ৮ টন পর্যন্ত ফলন দেয়। এছাড়া প্রতিকেজি চালে ২৪.২ মিলিগ্রাম জিংক ও শতকরা ৮.৩ ভাগ প্রোটিন রয়েছে। এছাড়া এই জাতের ধানের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এ কারনে এ বছর শুধু যশোর অঞ্চলে প্রায় ৫০০০ হাজার হেক্টর জমিতে জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিল মাত্র ১ হাজার। সারা দেশে অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর জমি এ বছর এই ধান আবাদের আওতায় এসেছে। এই ধানের চালের ভাত শিশুদের দেহের দৈনিক ৩ থেকে ৫ মিলিগ্রাম ও নারীদের দেহের দৈনিক ৮ থেকে ৯ মিলিগ্রাম জিংকের যে চাহিদা রয়েছে তা সিংহভাগই পুরণ করতে স্বক্ষম। পাশাপাশি পুরুষ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় জিংক ও প্রোটিনের চাহিদা একই ভাবে পুরণ করতে স্বক্ষম।
এছাড়া জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে মেয়েরা খাটো হয় না। শিশুদেও শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ হয়। ক্ষধা মন্দা দুর করে। রোগা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কিশোরী মেয়ে ও গর্ভবতী মায়ের জিংকের অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং গর্ভেও বাচ্চা ¯œায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়।