বুধবার ● ২৪ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চলছে মাগুরা মেডিকেল কলেজের ভর্তির কার্যক্রম
২৫০ শয্যা হাসপাতালে চলছে মাগুরা মেডিকেল কলেজের ভর্তির কার্যক্রম
মাগুরা প্রতিনিধি ঃ মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অস্থায়ী ভিত্তিতে শুরু হয়েছে মাগুরা মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম। ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে এ মাসের ২৫ অক্টোবর।
মাগুরা মেডিকেল কলেজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা মেডিকেল কলেজ মাত্র ২ মাস আগে ঘোষিত হলেও এ বছর থেকেই ভর্তির আদেশ আসে। মোট ৫০ টি আসনে ভর্তির তালিকা এসেছে। মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত ১৫ অক্টোবর থেকে এ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। ২৫ অক্টোবর এ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আগামী ১০ জানুয়ারী ক্লাস শুরু হবে। মাগুরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শুধু আমাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরাই আপাতত ক্লাস নেবেন। এর সাথে আশেপাশের জেলায় যে মেডিকেল কলেজ আছে সেখান থেকে শিক্ষকরা এসে সহযোগিতা করবেন। তবে খুব শিগগিরই স্থায়ী ভিত্তিতে এখানে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। নোয়াখালী থেকে ভর্তি হতে আসা অনিক কুমার কুরি জানান, অনেক দূর থেকে এসেছি। তবে ভালো লাগছে, মাগুরা মেডিকেল কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ভর্তি হতে পেরে। সাতক্ষীরা থেকে আসা ছাত্রী রমা রাণী পাল জানান , মেডিকেল কলেজে ভতি হওয়ার অনুভ’তি সত্যিই আলাদা। তবে যেহেতু এই কলেজের নিজস্ব কোন অবকাঠামো নেই তাই আবাসন নিয়ে একটু ভাবতে হচ্ছে। মাগুরার প্রবীণ চিকিৎসক কাজী তারিফুজ্জামান বলেন, মাগুরায় আসলে গর্ব করে বলার মত কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা। মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা মাগুরাবাসীর জন্য এক পরম পাওয়া। এর মাধ্যমে মাগুরার সব শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবে। আশি বছর বয়সী শহরের ইসলামপুরের বাসিন্দা আবু বক্কার বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাগুরায় মেডিকেল কলেজ দেখে যেতে পেরে খুব ভালো লাগছে। মাগুরাবাসী দীর্ঘদিন যাবত একটি মেডিকের কলেজের অভাব বোধ করছিল। অবকাঠামো সম্পর্কে মাগুরা ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে যেন নির্বিঘেœ মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয় তার জন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। এটি সাময়িক একটি ব্যবস্থা। সরকার মেডিকেল কলেজের জন্য নির্দিষ্ট আবাসন তৈরি করলেই সেখানে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
আবাসনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি হাসপাতালেই ছাত্র=ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা। তা সম্ভব না হলে ভবন ভাড়া করা হবে।