সোমবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » খুলনা জেলায় দুই লাখ ৬৫ হাজারের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
খুলনা জেলায় দুই লাখ ৬৫ হাজারের অধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
এস ডব্লিউ নিউজ:
খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় আগামী ১৯ জানুয়ারি দুই লাখ ৬৫ হাজার আটশত পনের শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ (সোমবার) সকালে খুলনা সামছুর রহমানস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ের এ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন (২য় রাউন্ড) পালন উপলক্ষে খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এই সভার আয়োজন করে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক গুরু প্রসাদ ঘোষ, জেলা শিক্ষা অফিসার খোন্দকার রুহুল আমীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আতিয়ার রহমান শেখ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ শরাফাত হোসেন। সভায় খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
এবছর খুলনা জেলায় নয়টি উপজেলা, একটি সিটি কর্পোরেশন এবং দুইটি পৌরসভায় ৬ হতে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার তিনশ ৬০ এবং ১২ হতে ৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৩৪ হাজার চারশত ৫৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জানুয়ারি দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। ঐ দিন সকাল আটটা হতে বিকাল চারটা পর্যন্ত ছয় মাস হতে পাঁচ বছর বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে একটি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি রেল স্টেশন, বাসটার্মিনাল, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটসহ জনবহুল স্থানে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে। ছয় হতে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশু ও বিগত চার মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
ভিটামিন এ অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নিমূর্লের পাশাপাশি শিশুকে দীর্ঘ মেয়াদি ডায়রিয়া, রাতকানা, শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কমে যায়, হাম ও মারাত্বক অপুষ্টি হতে দূরে রেখে একই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।