রবিবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় গৌরঙ্গখালী খাস-খাল আবারও জবর দখল; এলাকাবাসীর ক্ষোভ
পাইকগাছায় গৌরঙ্গখালী খাস-খাল আবারও জবর দখল; এলাকাবাসীর ক্ষোভ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
জনস্বার্থে উন্মুক্ত থাকা পাইকগাছার গৌরঙ্গখালী খাস-খাল জবর-দখলকারীদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না। জবর-দখলকারীরা একেরপর এক খালটি দখল করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত খাস-খালটি দখল করে মৎস্য ঘের, মাছের ডিপো ও দোকান ঘর তৈরী করার চেষ্টা করেছে দখলকারীরা। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গৌরঙ্গখালী খাস-খাল জবর দখলকারীদের থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে আবারও পাইকগাছার গৌরঙ্গখালী খাস-খাল জবর দখলকারীদের কবলে পড়েছে। সম্প্রতি উপজেলার মঠবাটি গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম গৌরঙ্গখালী খালের জমি জবর-দখল করে সেখানে পাঁকা স্থাপনা তৈরী করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পাকা স্থাপনার উপর চিংড়ি নার্সিং পয়েন্টের পানির ট্যাংকি স্থাপন করবেন বলে জানাগেছে। খাল দখল করে স্থাপনা তৈরী করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী অতিসত্তার খাল থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানাগেছে, উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বিল পরাণ মালি ও কচুবুনিয়ার মধ্য দিয়ে খালটি প্রবাহিত। খালের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ইটের সলিং এর রাস্তা রয়েছে। গদাইপুর ইউনিয়নের ৪-৫টি গ্রামের উক্ত খাল দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাসনের একমাত্র পথ। খালটি এভাবে দখল হলে এলাকার পানি নিষ্কাসনের বাঁধা গ্রস্থ হবে। যার ফলে এলাকায় প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বেও খাস-খালটি একবার জবর দখল হলে উপজেলা প্রশাসন খালটি উন্মুক্ত ও খালের আংশিক খনন করেন। তাছাড়া জানাযায়, গৌরঙ্গখালী জলমহলটি প্রায় ২১ একর। এই জলমহলটি স্থানীয় জনগণের উপকারার্থে এবং মৎস্য ও ফসল উৎপাদনের সুবিধার্থে বাংলা ১৪১২ সন হতে খালটি উন্মুক্ত রাখার নির্দেশনা দেন খুলনা জেলা প্রশাসন। এবারও খালটি দখল হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই জবর-দখলকারীদের কাছ থেকে খাস-খালটি উন্মুক্ত করতে না পারলে এলাকার পানি নিষ্কাসনে চরম বাঁধা সৃষ্টি হবে। তাই এলাকাবাসী গৌরঙ্গখালী খাস-খালটি জনস্বার্থে উন্মুক্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।