রবিবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » “ধরাকে সরা জ্ঞান” ভ্যান চালক থেকে পাহারাদার তারপর সাংবাদিক!
“ধরাকে সরা জ্ঞান” ভ্যান চালক থেকে পাহারাদার তারপর সাংবাদিক!
এস ডব্লিউ নিউজ ঃ পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের পাহারাদার আব্দুল আজিজ তথ্য গোপন করে সাংবাদিকতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরী হয়েও সাংবাদিকতা দাপট দেখানোই অন্য কর্মচারীদের মধ্যে অন্তোষ বিরাজ করছে। তিনি চাকুরীর বিধানাবলী উপেক্ষা করে ও প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্টদের বোকা বানিয়ে সাংবাদিকতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানাগেছে, পাইকগাছা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বান্দিকাটী গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের পুত্র আব্দুল আজিজ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট, পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রে মাস্টার রোলে দীর্ঘদিন প্রহরী (নাইট গার্ট) হিসাবে চাকুরী করছে। এলাকাবাসী জানান চাকুরীর আগে তিনি ভ্যান চালাতেন। কয়েক বছর চাকুরীর পর তথ্য গোপন করে চাকুরীরত অবস্থায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। “ধরাকে সরা জ্ঞান” তার ভাবখানা এখন এমন। এ বিষয়টি সেই সময়ে পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের সাবেক মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শ্যামলেন্দু বিকাশ সাহা এর দৃষ্টি গোচর হলে তিনি তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেন। সে সময়ে আব্দুল আজিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চাকুরী করবেন এবং সাংবাদিকতা করবেন না বলে একটি মুচলেকা দেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন, আব্দুল আজিজ অত্র প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলের কর্মচারী। সে আগে এ এলাকায় ভ্যান চালাতো। শ্যামলেন্দু বিকাশ স্যারের সময় আব্দুল আজিজ সাদা কাগজে মুচলেকা দিয়েছিলেন যা আমি দেখেছি। এ ব্যাপারে তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়ে আব্দুল আজিজের কাছে কতদিন লোনা পানি কেন্দ্রে চাকুরী করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন নির্দিষ্ট করে তো বলা যাচ্ছে না তবে আছি অনেক বছর। মুচলেকার বিষয় তিনি বলেন, না না মুচলেকা দেওয়া হয়নি। তবে স্যার বলেছিলেন, চাকুরী করে সাংবাদিকতা করা যাবে না মৌখিকভাবে। পাইকগাছা বাজারের তফেল ঔষধালয় (দাওয়াখানা) এর মালিক আমির হোসেন এর কাছে ১০ হাজার চাঁদা দাবী করে। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর আমির হোসেন তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা লোনা পানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, আমি আসার পর জেনেছি তিনি একটি মুচলেকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশিষ্টজনেরা বলেন, সাংবাদিকতার পরিধি দিন দিন বিস্তৃতি হচ্ছে। আলু-পটল, মুদি বা সোনা-লোহার ব্যবসা তা সে হাজার কোটি টাকার হলেও এ ব্যবসার সঙ্গে তুল্য নয়। কারন গণমাধ্যমে কিছু সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। সাংবাদিকতার নীতি ও নৈতিকতা এসব দায়বদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে বানিজ্যই যদি হয় সাংবাদিকতার আরাধ্য। তবে সাংবাদিকতা বিকাশ তো ঘটবে না, উপরন্তু মুখ থুবড়ে পড়বে।