রবিবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » বিবিধ » আশাশুনির পল্লীতে মটর সাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত
আশাশুনির পল্লীতে মটর সাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত
আহসান হাবিব, আশাশুনি: আশাশুনির পল্লীতে মটর সাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে আনুলিয়া বৌবাজার চত্বরে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আবু মুসা রনি। এ সময় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বক্তব্য রাখেন আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আলমগীর আলম লিটন, সোহরাব মালী, আলাউদ্দীন, ইউনুছ ঢালী, হাসান ঢালী, জিয়া উদ্দীন, নিহতের পিতা খোকন গাজী, মাতা আমেনা বিবি প্রমুখ। মানবন্ধনে বক্তব্যরা বলেন, জাহাঙ্গীরের খুনি রবিউল ইসলাম, আল আলামিন, আব্দুল আজিজ সহ খুনির সাথে আরও যদি কেহ জড়িত থাকে তাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় এনে দ্রুত ফাসিঁ কার্যকর করার দাবি করেন। উক্ত মানববন্ধনে এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। মানবন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের খোকন গাজীর পুত্র ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪)কে গত বুধবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাস রোধে হত্যা করে একসরা আলিয়া মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকির ভেতর ফেলে দেয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের তড়িত পদক্ষেপে হত্যার সাথে প্রতক্ষ্যভাবে জড়িত একসরা গ্রামের বশির সানার ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০), একই গ্রামের সালাউদ্দিন অরপে খোকন কারিকরের ছেলে আল আমিন কারিকর (২৫) ও আব্দুল্লাহ কারিকরের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩০) ও দেবহাটার শরিফুল ইসলাম (২৫)কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যার শিকার জাহাঙ্গীরের লাশ বৃহস্পতিবার রাতে ওই মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকি থেকে ও মটর সাইকেলটি দেবহাটা থেকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে ঘাতকদের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হয়েছে এবং তারা সাতক্ষীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিও দিয়েছে। জবানবন্ধিতে তারা কি বলেছে তা সঠিকভাবে জানা সম্ভব না হলেও হত্যার মূল কারণ কি ? কারায় বা পরিকল্পিতভাবে এমন সৃশংস হত্যাযজ্ঞ ঘটাল পরোক্ষভাবে কারা জড়িত ? তার ফুস-ফাঁস শুরু হয়েছে এলার চা স্টল থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারে। সচেতন মহল এ হত্যাযজ্ঞের সাথে আর কেহ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা সহ জোরালোভাবে তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।