বুধবার ● ২০ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ছড়িয়ে দিতে চাইঃ প্রধানমন্ত্রী
সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ছড়িয়ে দিতে চাইঃ প্রধানমন্ত্রী
এস ডব্লিউ নিউজ।
এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এর মাধ্যমেই দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু ঢাকা শহর বা দেশের বড় বড় শহরে যেন এটা সীমবিদ্ধ না থাকে, আমরা সারাদেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালা ছড়িয়ে দিতে চাই।’
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এদেশের মানুষ যাতে উদ্বুদ্ধ হয় এবং বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে একটা মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি,’ যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি এবং বাস্তবায়ন কমিটির যৌথসভায় প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন।
সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে তা যথাযথভাবে উদযাপনে বিশিষ্ট জনদের নিয়ে একটি ১০২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এবং বাস্তায়নের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি করেছে, আজ ছিল তারই প্রথম যৌথ বৈঠক।
মুজিব বর্ষের প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সারাদেশের সকল জেলা, উপজেলা থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানমালা চলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমাদের দারিদ্রের হার ২১ ভাগে আমরা নামিয়ে এনেছি। হত দরিদ্রের হার আমরা ১১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য এটা আরো কমিয়ে আনা এবং হত দরিদ্র বলে এদেশে কিছু থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ মাসটা আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ মাস। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন। আবার ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। কাজেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরটাই আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে উদযাপন করবো।’
জাতির পিতার জন্মশতাবার্ষিকী যথাযথভাবে উদযাপন করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে জাতির পিতা দেখেছেন দারিদ্র্যের হাহাকার। বুভুক্ষু নর-নারীর কষ্ট।
অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং আমির হোসেন আমু, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং মতিয়া চৌধুরী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বৈঠকে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন। বাসস।