মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » আশাশুনির কোলায় খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দুটি গ্রামের দু’শতাধিক মৎস্য ঘের প্লাবিত
আশাশুনির কোলায় খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দুটি গ্রামের দু’শতাধিক মৎস্য ঘের প্লাবিত
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির কোলায় পাউবো’র বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে খোলপেুটয়া নদীর জোয়ারে পানি ভেতরে প্রবেশ করে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হিজলিয়া গ্রামসহ দু’শতাধিক মৎস্য ঘের অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী প্লাবিত হয়েছে। রাতের জোয়ারে বাঁধ বাঁধা না গেলে শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর, থানাঘাটা, মাড়িয়ালা, কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় ভূগছে এলাকাবাসি। এছাড়া খোলপেটুয়া নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে প্রতাপনগরের চাকলা, হরিশখালী, রুইয়ারবিল, নাকনা, শ্রীপুর, কুড়িকাহনিয়া, আশাশুনি সদরের জেলেখালী, দয়ারঘাট, বলাবাড়িয়া, আনুলিয়ার বিছট, কাকবাসিয়া, ভোলানাথপুর, মনিপুর, খাজরার খাজরা বাজার, গদাইপুর, তুয়ারডাঙ্গা, কাদাকাটির গাবতলা, বুধহাটার বুধহাটা বাজারসহ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি পয়েন্টে পাউবো’র বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বর্ষা মৌসুমের আগে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামত করা না হলে আরো কয়েক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, রোববার রাতের জোয়ারে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা গ্রামে শ্রীউলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এড. জহুরুল হকের মৎস্য ঘেরের সামনে প্রায় ৩০ হাত পাউবো’র বেড়ী বাঁধ ধ্বসে যায়। সোমবার সকালের জোয়ারে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সেখান থেকে পানি প্রবেশ করে প্রায় দেড়’শ হাত রাস্তা ভেঙ্গে যায়। মুহুর্তের মধ্যে প্লাবিত হয়ে যায় কোলা ও পাশর্^বর্তী হিজলিয়া গ্রামের দুই শতাধিক চিংড়ি ঘের ও অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী। জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দু’গ্রামের শতধিক পরিবার। এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করে ঘটনাস্থলে তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংসদ ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনান্তে দ্রুত বরাদ্ধের ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা স্বল্প সময়ের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হারিয়ে যান বলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুহেনা সাকিল জানান। রিং বাঁধ দিয়ে রাতের জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশ্বসে ও শ্রীউলা ইউনিয়ন প্লাবনের হাত থেকে বাচাতে এলাকার লোকজন নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ও শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ শুরু করেছেন। তিনি বলেন রাতের জোয়ারে পানি আটকানো সম্ভব হবে না, বিধায় রাতের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীর পানি ভেতরে প্রবেশ করে নতুন করে শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি, মাড়িয়ালা, কলিমাখালি, লাঙ্গলদাড়িয়া, নাকতাড়া, রাধারআটি, গাজিপুর, বকচর, থানাঘাটা, পুইজালা গ্রামসহ শ্রীউলা ইউনিয়ন ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের কিছু গ্রামেও পানি ঢুকে প্লাবিত হতে পারে। বিকালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক অসিম বরণ চক্রবর্তী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।