শনিবার ● ১১ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » ডুমুরিয়ার শাহপুর-দৌলতপুর সড়কে নির্মাণ কাজে ব্যপক অনিয়ম। দূর্নীতি-অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আবারো কাজ শুরু।
ডুমুরিয়ার শাহপুর-দৌলতপুর সড়কে নির্মাণ কাজে ব্যপক অনিয়ম। দূর্নীতি-অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর আবারো কাজ শুরু।
অরুণ দেবনাথ, ডুমুরিয়া প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়া শাহপুর-দৌলতপুর সমকে নির্মাণ কাজে প্রথমদিকে ব্যপক অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করে। কাজে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশী অনিয়ম চলছে, দেখার কেউ নেই। নির্মাণ কাজে মূল সড়ককে দুটি প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিভক্ত করে। প্রথম প্রকল্পটি থুকড়া থেকে শাহপুর পর্যন্ত ৫ কিঃ মিঃ ও বাকী ৯.৬ কিঃ মিঃ হল দ্বিতীয় প্রকল্প যা শলুয়ার শানতলা পর্যন্ত। প্রকল্প ২টি তে সরকার মোট বরাদ্দ দেয় ৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। প্রথম প্রকল্পে ২ কোটি ৪২ লক্ষ ও অপরটিতে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিএডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন - নির্মাণ কাজে অনিয়মের জন্য প্রথম পর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন জনভোগান্তির পর জীবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ বাধ্য হয়ে এই ঝুকিপূর্ণ রাস্তায় চলাচল করতে বাধ্য হয়েছে। বন্ধ রাখা কাজ পূনঃরায় নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে আবারো স্বস্তি ফিরে আসে। দুঃখের বিষয় হল: নির্মাণ কাজে ২নং খোয়া, বালু, ইট ব্যবহার করায় কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দেয়। অবাক হলেও সত্য বর্তমান নির্মাণ কাজে পূর্বের তুলনায় আরো বেশী অনিয়ম ও দূর্নীতি দেখা যাচ্ছে। খুড়ে রাখা রাস্তায় যে বাতিল পিচ ইট খোয়া ছিল, তাও বর্তমানের ২নং ইটের খোয়ার সাথে মিশিয়ে দিয়ে রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ১২ নং রংপুর ইউপি আ’লীগের সম্পাদক আদিত্য কুমার মন্ডল বলেন; অপ্রিয় হলেও, কথাটা সত্য। নির্মাণ কাজে যে ব্যপক অনিয়ম হচ্ছে তা সবাই জানে। এমন নি¤œমানের দ্রব্য ব্যবহারে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারেরা। এসব কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হতে হতে আরেক দিক দিয়ে রাস্তাটি ধ্বংস হতে থাকে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ উদাস থাকার কারণে ঠিকাদার ব্যপক সুবিধা ভোগ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহনাজ বেগম জানান; রাস্তার নির্মাণ কাজে অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রঘুনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান খান শাকুর উদ্দিন জানান; আমি নিজে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বাজারে আসার পথে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত খোয়ার উপর দিয়ে আসছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য মোটর সাইকেলের চাকার চাপে খোয়াগুলো ধুলো হয়ে যাচ্ছে! যাতে বোঝা যায়; এ খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মাণ হলে তা অচিরেই ধ্বসে পড়বে। এ বিষয়ে শাহপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান বলেন; প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়ে খুলনা থেকে দৌলতপুর হয়ে শাহপুর পর্যন্ত আসা কত যে কঠিন; যারা চলাচল করেছে সেই ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।