শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » পরিবেশ » সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
প্রথম পাতা » পরিবেশ » সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
৫৬৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৩ মে ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে

 

---

ফাইল ফটো ।
এস ডব্লিউ নিউজ: তিন বছর আগের তুলনায় সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) সংখ্যা আটটি বেড়েছে। বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রকাশিত ‘সুন্দরবনের বাঘ জরিপের ফলাফল ঘোষণা ও সেকেন্ড ফেইজ: স্ট্যাটাস অব টাইগারস ইন বাংলাদেশ সুন্দরবন-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে, ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা করেছিল বন বিভাগ। সে সময় তাদের জরিপে সুন্দরবনে বাঘের ঘনত্ব ছিল প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে ২.১৭টি, আর মোট বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি।

নতুন জরিপে, বাঘের এই সংখ্যা আটটি বেড়ে ১১৪টি হয়েছে, যা ২০১৮ সালে করা।

অনুষ্ঠানে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানান, সুন্দরবনের খুলনা, সাতক্ষীরা ও শরণখোলা রেঞ্জে ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪৯ দিনের জরিপ শেষে বন বিভাগ এ তথ্য পেয়েছে।

তিনটি রেঞ্জের তিনটি ব্লকের ১৬৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশেষ ধরনের ক্যামেরা দিয়ে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপে বন বিভাগ এবার ৬৩টি পূর্ণবয়স্ক, চারটি জুভেনাইল, পাঁচটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বাঘের ২৪৬৬টি ছবি পেয়েছে। এ ছবিগুলো যাচাই করেই বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইউএসএইডের অর্থায়নে বেঙ্গল টাইগার কনজারভেশন অ্যাক্টিভিটি (বাঘ) প্রকল্পের আওতায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।

এসইসিআর মডেলে তথ্য বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনের প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাঘের আপেক্ষিক ঘনত্ব পাওয়া গেছে ২.৫৫ + ০.৩২।

সুন্দরবনের বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র চার হাজার ৪৬৪ কিলোমিটার এলাকাকে আপেক্ষিক ঘনত্ব দিয়ে গুণ করে বাঘের সংখ্যা হিসাব করা হয়েছে ১১৪টি।

জরিপে দেখা গেছে, বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি, প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩.৩৩টি। খুলনা রেঞ্জে সবচেয়ে কম- প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১.২১টি বাঘ রয়েছে।

জরিপে বন বিভাগকে সহযোগিতা করেছে ওয়াইল্ড টিম, যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ সোনিয়ান কনজারভেশন বায়োলজি ইনস্টিটিউট ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিডি জার্নাল ।





আর্কাইভ