মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় যাতায়াতের পথে গর্ত খুড়ে রেখেছে প্রতিপক্ষ; থানায় অভিযোগ
পাইকগাছায় যাতায়াতের পথে গর্ত খুড়ে রেখেছে প্রতিপক্ষ; থানায় অভিযোগ
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছায় যাতায়াতের পথে প্রতিপক্ষ শরিকরা বিশাল গর্ত খুড়ে রাখায় দূর্ভোগে পড়েছে ৩টি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির নগর শ্রীরামপুর গ্রামের মালো পাড়ায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছার নগর শ্রীরামপুর মৌজার ৩৪ খতিয়ানের ৩৫ নং দাগে ৩৬ শতক জমিতে দেবব্রত বিশ্বাস, রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, শম্ভু বিশ্বাস ও তাদের কাকা পরিমল বিশ্বাসের পরিবার দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। তবে পরিমল বিশ্বাসের সাথে উক্ত জমি নিয়ে তার ভাইপো রবীন্দ্র, দেবব্রত ও শম্ভু বিশ্বাসের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিমল বিশ্বাস ও তার ছেলেরা ২৮ মে’১৯ সকাল ১০টায় পাঁকা ঘর নির্মান করবে বলে দ্ইু ঘরের মাঝখান দিয়ে চলাচলের পথ জুড়ে কেটে গর্ত তৈরী করে। এ সময় দেবব্রত বিশ্বাস বাধা দিলে বিবাদীগন তাদের মারতে উদ্যত হয়। এ ঘটনায় ঐ দিন বিকালে দেবব্রত বিশ্বাস বাদী হয়ে পরিমল বিশ্বাসের ৩ পুত্র জগন্নাথ বিশ্বাস, সুব্রত বিশ্বাস ও মেঘনাথ বিশ্বাসের নামে থানায় অভিযোগ করেছে।
আরো জানা গেছে, জমি নিয়ে শরিকের মধ্যে বিরোধ ছাড়াও উক্ত সম্পত্তি একই এলাকার শহিদ হাজরা ও তার পুত্র আফজাল হাজরা ক্রয় করেছে বলে কিছু অংশ দখল করে আইচ ফ্যাক্টরি করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় ২০১৪ সালে রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ঠাকুর দাশ বিশ্বাস ও গুরুচরন বিশ্বাস বাদী হয়ে জেলা খুলনার যুগ্ম জেলা জজ চতুর্থ আদালতে দুলাল বিশ্বাস, পরিমল বিশ্বাস, শহিদ হাজরা, আফজাল হাজরা, বিষ্ণুপদ বিশ্বাসের নামে বাটোয়ারা মামলা করেন। মামলা নং-দেঃ ৮৯/২০১৪। মামলা করার পর থেকে শহিদ হাজরা গংরা মালোদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল শাহিদা হাজরা ও স্বামী শহিদ হাজরা রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের বাড়ীতে ঢুকে উচ্ছেদ, ভয়ভীতি ও গালিগালাজ করায় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল রবীন্দ্র শাহিদা ও শহিদের নামে থানায় জিডি করেন যার নং-১৮০/১৮। তাছাড়া ২০১৭ সালে আফজাল গংরা মেইন মালো পাড়ার যাতায়াতের পথে তিনটি স্থানে লোহার গেট গ্রিল দিয়ে পথ আটকে রাখে। এতে ৫/৭ টি পরিবার প্রতিদিন ১০/১২ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকত। এ ঘটনায় একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় “পাইকগাছায় যাতায়াতের পথ নিয়ে বিপাকে কয়েকটি পরিবার” প্রতি দিন ১০ ঘন্টা শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল। ভুক্তভোগী পরিবার ব্যবসায়ীরা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গেট উঠিয়ে দিলে তারা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পায়।
এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার ওসি ইমদাদুল হক শেখ জানান, অভিযোগ হয়েছে, কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এস,আই বাবুলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ চলাচলের পথ বদ্ধ করতে পারে না। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে দেবব্রত বিশ্বাস ও রবীন্দ্র বিশ্বাস জানান, কপিলমুনি ফাঁড়ির এস,আই বাবুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করেছেন। তবে কাজ বন্ধ করতে থাকলেও পথ জুড়ে বিশাল গর্ত তৈরী করে রাখায় বাড়ী থেকে বের হওয়ার পথ না থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে ৩টি অসহায় পরিবার। রাস্তা জুড়ে গর্তে পানি থাকায় কাদা মাটিতে ভিজে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে এস,আই বাবুল জানান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে বসাবসির দিন নির্ধারন করা হলেও বিবাদীরা সময় নেওয়ায় তদন্তের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।