শুক্রবার ● ২ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে সকল সম্ভাবনাঃ প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ »
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে সকল সম্ভাবনাঃ প্রধানমন্ত্রী
৪২২ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২ আগস্ট ২০১৯
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে সকল সম্ভাবনাঃ প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ফটো ।
এস ডব্লিউ নিউজ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ সকল সম্ভাবনা এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ব্যর্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়। পারিবারিকভাবে আমরা সব কিছু হারিয়ে ফেলি, কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে সকল সম্ভাবনা।
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে লন্ডন থেকে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচি ও বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতির জন্য একটি কালো দিন। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও শেখ রেহানা বাবা-মা ও ভাইসহ সবকিছুই হারিয়েছি। ১৫ আগস্ট আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যয় নিয়ে আসে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জন্যও বিপর্যয় নেমে আসে।
প্রধানমন্ত্রী দুস্থ মানুষের সেবা করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের সেবা করা প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বড় অর্জনের জন্য বড় ত্যাগ প্রয়োজন।’
শেখ হাসিনা মশার প্রজনন রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণেরও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে পরিত্রাণে আমি ইতোমধ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। আমার নির্দেশ পালনের মাধ্যমে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মশা থেকে আপনি নিজেকে, পরিবারকে এবং ঘরবাড়িকে রক্ষা করুন।’
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে দেশ স্বাধীন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জনগণকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চেয়েছিলেন, যাতে তারা উন্নত জীবন লাভ করে, সুন্দরভাবে বাঁচতে এবং মাথা উঁচু করে চলতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। তিনি বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো। আমরা দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে এনেছি এবং এটি আরো হ্রাস করবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ একুশ বছর পর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা জাতির পিতার লক্ষ্য, চিন্তা-চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
রক্তদান ও বৃক্ষ রোপণ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ কৃষক লীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা ব্যাপকভাবে রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে সংকটাপন্ন রোগীরা সহজে রক্ত পেতে পারে।
পরিবেশ রক্ষাসহ প্রকৃতি ও দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বৃক্ষ রোপণ পছন্দ করতেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা প্রত্যেককে কমপক্ষে ৩টি গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানান। এর মধ্যে একটি হবে কাঠের জন্য, একটি ফলের জন্য এবং একটি ওষুধি গাছ। বাসস। |