সোমবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » শ্রমিকের খরচ মেটাতে হিমশিত খাচ্ছে পাট চাষী
শ্রমিকের খরচ মেটাতে হিমশিত খাচ্ছে পাট চাষী
নাসরিন সুলতানা রানী॥
পাটের আঁশ ছাড়ানো, ধুয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পর করছে পাট চাষীরা। কয়েক বছর পাটের মূল্য কম থাকায় চাষীরা পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে বিগত বছর থেকে পাটের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট চাষীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পাটের মোটামুটি দাম পেয়ে পাট চাষীরা পাটের আবাদ ধরে রেখেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলায় ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি মন পাট ১৫শ টাকা থেকে ১৬শ টাকা ও পাটের আড়ৎগুলোতে ১৬ থেকে ১৭শত টাকা দরে পাট বিক্রয় হচ্ছে। পাটের দাম আশানারূপ না হলেও পাটকাঠির প্রচুর চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় পাটচাষীরা খুশি। পাটকাটির চাহিদা থাকায় ক্রেতারা আগাম পাট চাষীদের নিকট থেকে পাটকাঠি ক্রয় করছে। আর আঁশ ছাড়ানোর সাথে সাথে ভিজা পাটকাঠি নিয়ে যাচ্ছে। ছোট ছোট আটি হিসাবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানী হিসাবে গৃহবধুদের কাছে পাটকাঠির চাহিদা খুব বেশি। পাটকাঠি দিয়ে সহজে উনুন জ্বালানো যায় ও সহজে রান্না করা যায়। এইজন্য গৃহবধুদের কাছে পাটকাঠির চাহিদা বেশি। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের পাটচাষী কেসমত সরদার জানান, শ্রমিকের দাম বেশি হওয়ায় পাটের আবাদে খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। জমি তৈরী, বীজ ক্রয়, নিড়ানী, সার-কীটনাশক, পাট কাঁটা ও ধোয়া খরচ মিটিয়ে হাতে আর কিছু থাকে না। তারপরও পাটকাঠির দামের উপর নির্ভর করে পাট চাষ করছি।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।। বিগত বছর গুলোতে পাটের আশানারূপ মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে উপজেলায় পাটের আবাদ অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছিল। এ বছর পাটের আশানারূপ মূল্য পাওয়ায় পাট চাষীদের মধ্যে হাসি ফুটে উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। তাছাড়া এ বছর পাটের ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা খুশি হয়েছে এবং আগামীতে আরো অধিক জমিতে পাটের চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।