বদলে যাচ্ছে হাসানপুর ইউনিয়নের চেহারা

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোয়ায় ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে  কেশবপুর উপজেলা  নব-গঠিত ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নের চেহারা। একজন ইউপি চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সরকারের একেবারে ক্ষুদ্রতম ইউনিটের ইউনিট প্রধান মাত্র। তবে এই ক্ষুদ্রতম ইউনিট প্রধানের ওপরে একটি ইউনিয়নের ভালো-মন্দ দেখভালে বিষয়টি নির্ভর করে। এদেশে মোট ৪ হাজার ৫’শ ৬২টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

সারা বাংলাদেশের এই ৪ হাজার ৫’শ ৬২ জন চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলেই ইতিবাচক দিক থেকে বদলে দিতে পারেন বাংলাদেশের চেহারাটা । তার প্রমান যশোররে কেশবপুর উপজেলার নবগঠিত ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক জুলমাত আলী। তিনি তার নির্বাচনের পর থেকে নিজ ইউনিয়নে তা করে দেখিয়েছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে প্রভাষক জুলমাত আলী চতুর্থ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কোন ভবন না থাকায় হাসানপুর বাজারে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে  শিক্ষানুরাগী ও জনবান্ধব এই চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিগত বছরগুলিতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। এবং অদ্যবধি তিনি নিজের কর্তব্য পালন করে চলেছেন। যার ফলে বদলে যাচ্ছে নব-গঠিত হাসানপুর ইউনিয়নের চেহারা। তিনি নির্বাচিত হবার পর তার ইউনিয়নের হাট বাজার রাস্তা ঘাট ও গ্রামীণ অবকাঠামোর সার্বিক উন্নয়ন সহ গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের ব্যবহার রোধ, ইভটিজিং রোধ সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে নিরালস সংগ্রাম কর চলেছেন। বর্তমানে এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তার কঠোর মনোভাবের কারণে এই ইউনিয়নে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। এব্যাপারে প্রভাষক জুলমাত আলী বলেন, ২০১৬ সালের ২৮ মে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করে অদ্যাবধি সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। এবং ইউনিয়ন পরিষদে নিস্পত্তি যোগ্য সকল বিষয় গ্রাম আদালত পরিচালনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে। আমার এলাকায় বাল্য বিবাহ, মাদকের ব্যবহার, ইভটিজিং সহ অন্যান্য অপরাধ যাতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছি। এব্যাপারে আমার ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্যগণ এবং ইউনিয়নবাসী আমাকে সহযোগিতা করেছে। একটি আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদকে গড়ে তোলাই বর্তমানে আমার জীবনের লক্ষ্য।