বৃহস্পতিবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » রাজনীতি » পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে প্রচার প্রচারণা
পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে প্রচার প্রচারণা
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
২৪ নভেম্বর পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় দেড়যুগ পর ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে সামনে রেখে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। তাছাড়া কে হবে সভাপতি বা সম্পাদক তা নিয়ে সরগম উপজেলার রাজনীতি অঙ্গন।
২৩ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও একদিন পিছিয়ে ২৪ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে তেমনি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির করার চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সভাপতি পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু। সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, জেলা ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, পাইকগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নাম শোনা যাচ্ছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে শেখ মোঃ নূরুল হক সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় নেতাকর্মী ও কাউন্সিলারদের মধ্যে নতুন ইমেজ তৈরী হয়েছে। সম্মেলনের তার সভাপতি পদে জয়লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এবার প্রথম আনন্দ মোহন বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মধ্য থেকে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে একজনকে মনোনীত বা নির্বাচিত করার দাবী উঠে আসছে। সম্মেলনে কাউন্সিলররা কঠিন সমস্যায় ভোগেন। সম্ভব্য প্রার্থীরা পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। প্রার্থীরা সবাই একে অপরের পরিচিত ও আপন জন। কাকে ভোট দেবে বা কাকে ভোট দেবেনা তা নিয়ে দ্বীধাদন্দে থাকে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চায় বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। যাতে দুর্দিনের ত্যাগী কর্মী ও পরীক্ষিত নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ণ হয় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের গৌরব অব্যাহত থাকে।