শুক্রবার ● ১০ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়ায় পাউবো’র ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত
আশাশুনির কুড়িকাহুনিয়ায় পাউবো’র ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত
এস,এম আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের কাছে কপোতাক্ষ নদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত্র ১ টার দিকে ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটে।
কুড়িকাহুনিয়া লঞ্চ ঘাটের দক্ষিন পাশে ভেড়ী বাঁধটি দীর্ঘদিন যাবৎ খুবই জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় ছিল। এখানে প্রায় প্রতি বছরইবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে। ভাঙ্গনের পর বাঁধ রক্ষার্থে সংস্কার কাজ করা হলেও তা টেকসই না হওয়ায় এলাকার মানুষ প্রতিনয়ত আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করে আসছে। পুর্ণিমা গণের প্রবল জোয়ারের চাপে জরাজীর্ণ বেড়ীবাঁধের শতাধিত হাত ভেঙে গেলে মুহুর্তের মধ্যে এলাকা জলগ্ন হতে থাকে। ঘমের মধ্যে থাকা মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ছুটতে শুরু করে। নদীর পানিতে কুড়িকাহুনিয়া, শ্রীপুর ও দৃষ্টিনন্দন গ্রাম সম্পূর্ণ এবং প্রতাপনগর গ্রামের কয়েকটি ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পানিতে জমির ফসল, মৎস্য ঘের, ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে গেছে। কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে নদীতে ভাটা হলে প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েন। বাঁশ, বালি ভর্তি বস্তা, তালপাতা দিয়ে দুপুরের আগেই বাঁধটি আপাতত রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। বাঁধটিকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত কাজ করার দরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ঘটনাস্থান পরির্দশণ করেছেন। তিনি আপাতত কিছু বস্তা দিয়েছেন। উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বাঁধ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশ^াস প্রদান করেন। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন বলেন, পাউবো’র কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে বাঁধটি দীর্ঘকালেও যথোপযুক্ত ভাবে রক্ষার স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতি বছর এই এলাকার মানুষ বাঁধ ভাঙ্গনের শিকার হয়ে সহায় সম্বল হারিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভাঙ্গন কবলিত স্থানে বাঁধ সংস্কারের কাজ করা কালে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন, কিন্তু শ্রমিকদের জন্য কোন জরুরী সহায়তা প্রদান না করে ফিরে যান। এব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, বাঁধ ভাঙ্গার কারণে প্রতাপনগর ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন এলাকা মনিটরিং করার কারণে তাৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি, তবে বিকালে (বুধবার) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হবে